ভারতে বিভিন্ন সেইফ হোমে অবস্থানরত ২১ জন বাংলাদেশি নারী ও শিশু বাংলাদেশে ফিরেছে। এরা বিভিন্ন সময়ে দেশটিতে পাচার হয়েছিল।
শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রত্যাবাসন করা হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কনস্যুলার ও কল্যাণ অনুবিভাগ জানিয়েছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন, কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের নারী ও শিশু পাচার রোধ বিষয়ক বিশেষ টাস্কফোর্সের সমন্বিত প্রচেষ্টায় ভারতে বিভিন্ন সময়ে পাচারের শিকার ২১ জন বাংলাদেশি নারী ও শিশুকে প্রত্যাবাসন করা হয়।
বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন সময়ে মানবপাচারের শিকার হয়ে অবৈধভাবে ও ভুলক্রমে ভারতে প্রবেশকালে আটকাধীন বাংলাদেশি নারী ও শিশুদের পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন সেইফ হোমে রাখা হয়। পরবর্তীতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন, কোলকাতা, স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগ ও আন্তরিক সহযোগিতার মাধ্যমে বিভিন্ন সেইফ হোমে অবস্থানরত এসব বাংলাদেশি নারী ও শিশুদের নাগরিকত্ব যাচাইপূর্বক ট্রাভেল পারমিট ইস্যু সাপেক্ষে তাদেরকে নিরাপদে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কনস্যুলার ও কল্যাণ অনুবিভাগ জানিয়েছে, মানবপাচারের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর গৃহীত পদক্ষেপসমূহের বাস্তবায়নে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ভারতে বিভিন্ন সেইফ হোমে অবস্থানরত মানবপাচারের শিকার হয়ে অবৈধভাবে গমনকারী বাংলাদেশি নারী ও শিশুদের বাংলাদেশে প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করে তাদেরকে নিজ অভিভাবক ও স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (কনস্যুলার ও কল্যাণ) ও সহকারী সচিবের (কল্যাণ) উপস্থিতিতে বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন, কলকাতার একটি প্রতিনিধি দল বেনাপোল সীমান্তে স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা মহিলা ও শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা ও পুলিশ প্রশাসনের নিকট উদ্ধারকৃত এসকল বাংলাদেশি নারী ও শিশুদের হস্তান্তর করেন।
এছাড়াও এই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার সময় বেনাপোল সীমান্তে বিজিবি কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় এনজিও কর্তৃপক্ষ ও ভারতের বিভিন্ন সরকারী সংস্থা, বিএসএফ কর্তৃপক্ষ উপস্থিত ছিলেন।