খুলনায় ১ লাখ ৫০ হাজার ১৫১ জন শিশু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী মুজিববর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ৭ মার্চের ভাষণ উপস্থাপন (অনুকৃতি) করেছে।
রোববার (৭ মার্চ) বিকেলে নগরীর বয়রাস্থ খুলনা সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে শিশু সমাবেশ ও ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ উপস্থাপন করা হয়।
জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এবং চাইল্ড ইন্টিগ্রিটি ও শিশু বঙ্গবন্ধু ফোরামের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় আয়োজন করা হয়। ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধুর মতো ভঙ্গিতে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে দেওয়া ১৯ মিনিটের ভাষণ দেয়।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জুম ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত হন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ জানান, মূল অনুষ্ঠানস্থলে মহানগরীর শ্রেষ্ঠ ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে নির্বাচিত ১৫১ জন শিশুর কণ্ঠে ভাষণ ধ্বনিত হয়। এর সঙ্গে ওয়েবিনারে জেলাব্যাপি সংযুক্ত ১ লাখ ৫০ হাজার শিশুর কণ্ঠেও সেই ভাষণ ধ্বনিত হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ ৭ মার্চ। যেদিন রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ডাক দেন। সেই ডাক থেকে বাঙালি জাতি ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনে। সেই ঐতিহাসিক ক্ষণকে লক্ষাধিক ক্ষুদে বঙ্গবন্ধু আবারও স্মরণীয় করে রাখলো। এটি সারা দেশের ভেতরে ব্যতিক্রমী আয়োজন। ক্ষুদে শিশুরা সঠিক ইতিহাস জানুক এটাই কাম্য সবার। এরাই একদিন বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলবে।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, বিভাগীয় কমিশনার মো. ইসমাইল হোসেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলমগীর কবির, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুজিত কুমার অধিকারী, কেএমপি কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান ভূঞাঁ, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম জাহিদ হোসেন, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।