সর্ম্পক ডেস্ক: সরকারি বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে বিপনীবিতান ও দোকান খোলা রাখার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঈশ্বরদীতে পুলিশ ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
আজ সোমবার দুপুরে উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের নতুনহাট মোড়ে হাসেম সুপারমার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, করোনা সংক্রমণ বিস্তার রোধে উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার ও বিপনীবিতানে বন্ধ থাকলেও সাহাপুর নতুনহাট মোড়ে ‘হাসেম সুপারমার্কেটে (বিপনীবিতান) কসমেটিকস, জুতা-স্যান্ডেলসহ বিভিন্ন সামগ্রীর দোকানপাট খোলার খবর পেয়ে ঈশ্বরদী থানার এএসআই খায়রুল ইসলামের কনস্টেবল ফুয়াদ হোসেন ও রুহুল আমিন বিপনীবিতান বন্ধ করতে বলে। এনিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে শান্ত হোসেন নামে এক দোকানি পুলিশের ওপর চড়াও হয় এবং তাদের গালি দেয়! পুলিশ শান্তকে আটক করলে ব্যবসায়ীরা একজোট হয়ে শান্তকে ছিনিয়ে নেয় ও পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। খবর পেয়ে টহলরত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছালে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
ঘটনার পরপরই ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির ও ঈশ্বরদী থানার ওসি বাহাউদ্দিন ফারুকী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এএসআই খায়রুল ইসলাম বলেন, বিপনীবিতান খোলা রাখায় ব্যাপক জনসমাগম ঘটে। এলাকাবাসী তাদের কাছে অভিযোগ করেন মার্কেট বন্ধ করার জন্য। এর প্রেক্ষিতে বিপনীবিতান বন্ধ করার জন্য গেলে কয়েকজন ব্যবসায়ী তাদের কাজে বাধা দেয় ও পুলিশের সঙ্গে মারমুখী আচরণ করেন।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, করোনার কারণে তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ। ফলে তারা বাধ্য হয়ে মার্কেটটি খুলেছিলেন। কিন্ত পুলিশ জোরপূর্বক মার্কেট ও দোকান বন্ধ করতে বললে ওই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে।
ওসি বাহাউদ্দিন ফারুকী বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পর পরিস্থিতি শান্ত হয়েছে।পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় রাতে একটি মামলা হয়েছে।