নতুন প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব নেওয়ার পরও শ্রীলঙ্কায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চলছে। শুক্রবার বার্তা সংস্থা এএফপি এ তথ্য জানিয়েছে।
টানা বিক্ষোভের মুখে সোমবার পদত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে। ওই দিন সন্ধ্যায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে তার সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৯ জন নিহত ও দুই শতাধিক আহত হয়। বৃহস্পতিবার নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির নেতা রনিল শ্রীয়ান বিক্রমাসিংহেকে নিয়োগ দেন প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে। শুক্রবার বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছে, তারা প্রেসিডেন্ট গোটাবায়ারও পদত্যাগ চান।
প্রধান শহর কলম্বোতে একটি বিক্ষোভের জায়গায় ক্যাম্প করে আছে শত শত মানুষ।
এদেরই এক জন চামালগে শিবকুমার বলেছেন,‘আমাদের জনগণ যখন ন্যায়বিচার পাবে তখন আমরা এই সংগ্রাম বন্ধ করব। তারা যাকেই প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করুক, যতক্ষণ না জনগণ স্বস্তি পাবে ততক্ষণ আমরা এই সংগ্রাম থামাব না।’
বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী বিক্রমাসিংহের নিয়োগ প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ক্ষোভ কমই প্রশমিত করবে। কারণ ১৯৪৮ সালে স্বাধীন হওয়ার পর থেকে শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সংকটের জন্য শেষ পর্যন্ত রাজাপাকসে পরিবারই দায়ী।