ইন্দোনেশিয়ার সেনাবাহিনীতে যোগদানে নারীদের যে নিয়ম ছিলো সেটি বাতিল করছে দেশটি। সেনাবাহিনীতে যোগদানে ইচ্ছুক নারীদের আর কুমারিত্ব পরীক্ষা দিতে হবে না।
বুধবার (১১ আগস্ট) এ রয়টার্স এমন তথ্য জানিয়েছে।
মানবাধিকার সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরেই এই পরীক্ষা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে আসছে। ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ বা দুই আঙ্গুলের এই পরীক্ষা পদ্ধতিতে চিকিৎসকরা সেনাবাহিনীতে নিয়োগ পেতে ইচ্ছুক নারীদের সতীচ্ছদ পরীক্ষা করতেন। একে কৌশলগত নিপীড়ন ও নিষ্ঠুরতা বলে আখ্যা দিয়েছিল হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।
এর আগে সেনাবাহিনী দাবি করেছিল, যারা সেনাবাহিনীতে নিয়োগ পেতে চায় তাদের নৈতিকতা যাচাইয়ে এই পরীক্ষা গুরুত্বপূর্ণ।
তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, এই পরীক্ষার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। যৌনসঙ্গম করেছে কিনা তা যাচাইয়ের নির্ভরযোগ্য নির্দেশ সতিচ্ছদ নয়।
মঙ্গলবার ইন্দোনেশিয়ার সেনাবাহিনীর চিফ অব স্টাফ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সেনাবাহিনীতে আর এই ধরনের পরীক্ষা হবে না।
তিনি বলেছেন, ‘সতিচ্ছদ ফেটে গেছে বা আংশিকভাবে ফেটে গেছে কিনা তা পরীক্ষার অংশ ছিল … এখন এটি থাকছে না।’