আফগানিস্তানে নারীরা উচ্চশিক্ষা গ্রহণে কোনো বাধা নেই, তবে তাদের জন্য আলাদা শ্রেণিকক্ষের ব্যবস্থা থাকবে।ৎ
রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) দেশটির নতুন উচ্চশিক্ষা বিষয়কমন্ত্রী আব্দুল বাকি হাক্কানি এমন তথ্য জানিয়েছেন।
আব্দুল বাকি বলেছেন, ‘আজ যে অবস্থায় আছে সেই অবস্থার ওপর ভিত্তি করে তারা দেশ গঠনের কাজ শুরু করতে চান। তারা ঘড়ির কাঁটাকে ২০ বছর পেছনে নিয়ে যান না।’
তিনি জানিয়েছেন, যেখানেই সম্ভব হোক না কেন নারী শিক্ষার্থীদের নারী শিক্ষকরাই পড়াবেন এবং শ্রেণিকক্ষ পৃথক থাকবে। এছাড়া নারী শিক্ষার্থীদের জন্য পৃথক ড্রেসকোড থাকবে।
কাবুল সংবাদ সম্মেলনে বাকি বলেছেন, ‘আল্লাহর প্রতি শোকর যে, আমাদের অনেক বেশি নারী শিক্ষক রয়েছেন। এ ব্যাপারে আমরা কোনো সমস্যায় পড়ব না। নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নারী শিক্ষকের ব্যবস্থা করতে সব ধরনের চেষ্টা করা হবে।’
১৯৯৬ সালে প্রথম দফায় ক্ষমতায় আসার তালেবান নারী শিক্ষা প্রায় বন্ধ করে দিয়েছিল। আগস্টের মাঝামাঝি গোষ্ঠীটি পুনরায় ক্ষমতায় এলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে, আবারও আগের পথে ফিরবে কিনা তালেবান। তবে তালেবান কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নারীরা শরিয়াহ আইন মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ও কর্মস্থলে যেতে পারবেন।