নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, একটি নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচনে অনুষ্ঠানের জন্য এক জন রাষ্ট্রপতি হিসেবে আমার যা কিছু করার তা করব।
রোববার (১৬ এপ্রিল) রাজধানীর গুলশানে তার লেখা ‘এগিয়ে যাও বাংলাদেশ’ বইটি আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সকলে মুখে মুখে বলছে নির্বাচন খুব ক্রুসিয়াল হবে, কিন্তু আমি মনে করি কোনও ক্রুসিয়াল নয়। দেশে একটি সংবিধান আছে। কারও মাথা ঘামানোর প্রয়োজন নেই।’
মো. সাহাবুদ্দিন আরও বলেন, দেশের সংবিধান অনুযায়ী স্বাধীন নির্বাচন কমিশন (ইসি) একদম তাদের সর্বোচ্চ স্বাধীনতা প্রয়োগ করে সংবিধানের আলোকে একটি নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক এবং গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে সক্ষম হবে।
২০৪ পৃষ্ঠার এই বইটিতে ১৯৯৯ সাল থেকে ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত মো. সাহাবুদ্দিনের লেখা একুশটি কলাম ও স্মৃতিচারণমূলক লেখা, তিনটি সাক্ষাৎকার এবং তাঁর জীবন সম্পর্কিত একটি দীর্ঘ প্রবন্ধ গ্রন্থটিতে স্থান পেয়েছে।
এছাড়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে তাঁর দুষ্প্রাপ্য ও ঐতিহাসিক কিছু আলোকচিত্র বইটিতে যুক্ত করা হয়েছে।
আজ অনুষ্ঠানে বইটি আনুষ্ঠানিকভাবে বইটির লেখক নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতির কাছে হস্তান্তর করে আগামী প্রকাশনীর কর্ণধার বীর মুক্তিযোদ্ধা ওসমান গনি।
এসময় পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন ও গবেষক ড. এম আবদুল আলীম ও আগামী প্রকাশনীর পক্ষে মৌলি আজাদ উপস্থিত ছিলেন।
বিভিন্ন তথ্যবহুল প্রবন্ধ সমৃদ্ধ বই ‘এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ’ গ্রন্থের পাতায় পাতায় বিধৃত হয়েছে সাহাবুদ্দিনের শৈশব থেকে শুরু করে পুরো জীবনের কথা; তাঁর সংগ্রাম, রাজনীতি, মুক্তিযুদ্ধ, জেলজীবন, কর্মজীবন, সংসার-জীবন, চিন্তাদর্শ তথা সবকিছুর পরিচয়।
বইটির হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রকাশক ওসমান গনি বলেন, ‘নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি এই বইটিতে তাঁর স্মৃতিমূলক লেখা যেমন বঙ্গবন্ধুর আশীর্বাদ, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, বঙ্গবন্ধুর সাহচর্য, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও দেশকে এগিয়ে নিতে তাঁর চিন্তাধারা লিপিবদ্ধ করেছেন।
গবেষক ড. এম আবদুল আলীম বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির ব্যক্তিজীবন এবং তার সমকালীন রাজনৈতিক ঘটনাবলী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ তথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সেগুলোর একটা ব্যাপকভিত্তিক পরিচয় উঠে এসেছে।’