ভারতের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও দুই নির্বাচন কমিশনারের নিযুক্তিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ও লোকসভার বিরোধী দলের নেতা অংশ নেবেন। দেশটির সর্বেোচ্চ আদালত বৃহস্পতিবার এই ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে। খবর রয়টার্স।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি কে এম যোসেফের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে কেন্দ্রকে উপযুক্ত আইন প্রণয়নের নির্দেশ দিয়েছে। এই আইন প্রণয়ন না হওয়া পর্যন্ত সর্বোচ্চ আদালতের বেঁধে দেওয়া এই নতুন বিধি চালু থাকবে বলে জানিয়েছে বেঞ্চ।
ভারতের নির্বাচন কমিশন একটি স্বায়ত্তশাসিত সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। কিন্তু বিরোধী দলগুলো অভিযোগ করে আসছে, কমিশনার নিয়োগে শাসক দল হস্তক্ষেপ করছে। তবে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। নির্বাচনী প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতার স্বার্থে কমিশনার নিয়োগের চলমান প্রথা বাতিলের জন্য সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থে একাধিক মামলা করা হয়েছিল।
ভারতের নির্বাচন কমিশনের সদস্যদের মেয়াদ ছয় বছরের। সরকার প্রধানের পরামর্শে প্রেসিডেন্ট প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং আরও দুই কমিশনার নিয়োগ দেন। সচরাচর দেখা যায়, সরকারের অনুগত ও ঘনিষ্ঠ আমলাদেরই এই পদে নিযুক্তি দেওয়া হয়।
রায়ে বিচারপতি কে এম যোসেফের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ বলেছেন, ‘ভারতের নির্বাচন কমিশনকে কার্যনির্বাহী বিভাগের সব ধরনের পরাধীনতা এবং হস্তক্ষেপ থেকে দূরে থাকার কঠিন এবং অপ্রতিরোধ্য কাজটি সম্পাদন করতে হবে।…পার্লামেন্টে আইন প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত এই নিয়মটি বলবৎ থাকবে।’