ইন্ডিয়ান গার্ল!’ পার্ট-১৫
কখনো কি ভেবেছিলাম আজকের রাতটা এমন একটা সুন্দরি তরুনী থাকবে আমার রুমে! আমারই পাশে, মাত্র কয়েক হাত ব্যবধানে শুয়ে পাশের বিছানায়!
সাতপাঁচ ভাবছি ওকে নিয়ে। সন্দেহ নাই যা বলেছে সত্যিই বলেছে। অন্য মতলব থাকলে ধরে ফেলতে পারতাম এতক্ষন। নিজের ইচ্ছায় এখানে থেকে মহিলাকে দ্বিগুন টাকা পাইয়ে দিয়েছে, এক দাগে বড় কোন দান মারার চেষ্টায় আছে বা পুরোটাই মহিলা এবং দু’জনের নাটক, এভাবেও নেয়া যেতে পারতো। কিন্তু ওর সেই কান্না, চোখের সেই ভাষা, বুক চিড়ে বের হয়ে আসা আকুতি- এমন নিখুত অভিনয় কি হয়! মানুষ চড়িয়ে বেড়াই আমি। চোখের দিকে তাকিয়ে অন্তর পড়ে ফেলতে পারি। না, একে পড়তে আমার ভূল হয়নি। মেয়েটি সরল অর্থাৎ মেয়েটি ভালো। একথা মনে হতেই এক ধরনের ভালোলাগাবোধ মনটাকে আপ্লুত করে তোলে। না, কোন বাজে বা রাস্তার মেয়েকে রুমে এনে তুলিনি।
একটা ছোটমতো শ্বাষ ছেড়ে চোখ বন্ধ করতে যাবো, হঠাৎ মনে হলো এতক্ষন ধরে কথা বললাম ওর নামটাই জানা হয়নি। জিজ্ঞেস করবো কি! একবার ভাবি কি দরকার! যদি জিজ্ঞেস করি, বলবে, না ঘুমের ভাণ ধরে চুপ হয়ে থাকবে! মনে হয় না। যদিও শোয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘুমিয়ে পড়েনি, জেগেই আছে। নিশ্চয়ই নিজের ভবিষ্যত, আমার ওপর কতটুকু ভরষা রাখা যায় এসব নিয়ে ভাবছে। কে আমি কি করি কেমন লোক কিছুই জানে না। আমিই বা কোন বিপদে ফেলবো না ওকে, সে সন্দেহও জাগতে পারে। যতই সাহসের ভাব দেখাচ্ছে, ভেতরে ভেতরে এক ধরনের ভয় কাজ করা স্বাভাবিক। যতই ভগবান হই, জাতে পুরুষ, রাতে কোন সময় না তার বিছানায় চলে যাই, তেমন হলে কি করবে এসব ভাবনা তো মাথায় আসবেই।
একটু হাসি মনে মনে। বাতি নেভানোর পর থেকে আর কথা নেই। অবশ্য সব কথা শেষ করেই আমরা শুয়ে পড়েছি। ‘গুড নাইটে’র পর আর কথা চলেনা। মিনিট পনেরো পার হয়ে গেছে এর মধ্যে। এবার সব চিন্তা ঝেড়ে ফেলে দেই মাথা থেকে। ঘুমাতে হবে এখন। সকাল হতে আর মাত্র কয়েক ঘন্টা। ও ওর মতো করে ভাবতে বা ঘুমাতে থাকুক। আমি পাশ ফিরে শুই। হঠাৎই মুখ দিয়ে বের হয়ে যায়, ‘ইউ দেয়ার?’
‘ইয়েস!’ ত্রস্তে জবাব দেয়। অবাকই হই, যেন আমার এই কথাটারই অপেক্ষায় ছিলো এতক্ষন!
শুধাই ‘আর ইউ ওকে?’
‘ইয়েস আই এ্যম ফাইন।’
‘দ্যাটস্ এ গুড গার্ল। নাও শ্লিপ।’
‘ইয়েস, ট্রাইয়িং’ বলে আস্তে করে।
একটু চুপ থাকি। তারপর হালকামতো করে বলি ‘ইউ ডিডন্ট টেল মি ইওর নেম।’
সঙ্গে সঙ্গে জবাব দেয় না। আমি অপেক্ষা করছি। একটু চুপ থেকে বলে, ‘নিশা।’