ওকে, নো প্রব্লেম। তো আমি একা গিয়েই যা বলার বলছি তাকে। এরপর বাইরে কিছু কাজ আছে। ফিরতে হয়তো বিকেল হয়ে যাবে। তবে কয়টা বাজতে পারে জানিনা। ক্ষিধে পেলে নীচের রেস্টুরেন্টে ফোন করে খাবার আনিয়ে নেবে। বিল ওরা রিসেপশনে রেখে যাবে। আমি পরে পে করে দেবো। অবশ্য যদি এর মধ্যে আমি এসে যাই এক সঙ্গে খাবো। ওকে!
সুবোধ বালিকার মতো মাথা নেড়ে সায় দেয়। রেস্টুরেন্টের ফোন নম্বর লিখে দেই একটা কাগজে। কিভাবে ফোন করতে হবে দেখিয়ে দেই। আমার সেল নম্বরটাও লিখে দেই। বলি, দরকার মনে করলে যেন সঙ্গে সঙ্গে ফোন করে।
বুঝে নেয় ব্যপারগুলো। এর মধ্যে আমাদের খাওয়া শেষ হয়ে যায়। চায়ের কাপ নিয়ে এসে বসি বিছানায়। ও বসে ওরটায়। বলি, রুমের দরজা টেনে দিলে এমনিতেই লক হয়ে যায়। বাইরে থেকে চাবি ছাড়া খোলা যায়না। চাবি শুধু আছে আমার কাছে আর মাস্টার কি রিসেপশনে। তবুও যেন ওই নবটা টিপে ভেতর থেকেও লক করে রাখে। বলে নবটা দেখিয়ে দেই।
হঠাৎই একটু ঘাবড়েমতো যায় যেন। বলে, আন্টি কি এখানে এসে হানা দিতে পারে।
বেশ জোড়ে হেসে উঠি। বলি, ‘নো ওয়ে।’
যদি গুন্ডাপান্ডা নিয়ে আসে। দরজা ভাংতে চায়।
কি বলছো তুমি! এটা হংকং। চেন্নাই নয়। আর আমরা এখন কোন তামিল ছবির দৃশ্যেও নাই।
বুঝতে পারে ব্যপারটা। তবুও আশ্বস্ত হতে বলে, তেমন হলে আমি সঙ্গে সঙ্গে তোমাকে ফোন করবো। তুমি কিন্তু আসতে দেরী কোর না।
হেসে বলি, আরে পাগল তেমন হওয়ার কোন সম্ভাবনাই নাই। আচ্ছা ঠিক আছে, দরকার মনে হলেই ফোন দিও।
চোখের দিকে তাকিয়ে বলে, আসতে বললে সঙ্গে সঙ্গে চলে আসবে কিন্তু!
আমি তাকাই ওর সে চোখে। বলে, আমার কিন্তু একা একা আসলেই ভয় করবে। মনে হলো কথাটা কি ঘুড়িয়ে দিলো!
একটুক্ষন চুপ থাকি। ওর সে চাহনীতে কেমন যেন এলোমেলো হয়ে পড়েছিলাম। সামলে নেই। টিভিটা ছেড়ে দেই। বলি, এসব অনুষ্ঠান দেখতে অবশ্য ভালো লাগবে না। ছবি দেখতে ইচ্ছা হলে ভিসিআরে ক্যাসেট চালাতে পারো। নীচের সেলফে কয়েকটা মুভির ক্যাসেট আছে।
ও মাথা নেড়ে সায় দেয়। বলি, ‘রিলাক্স এ্যন্ড নেভার গেট বোরড্।’ আবার ঘাড় নাড়ে। তারপর আস্তে করে বলে, ‘দিস রুম ইজ এ হেভেন ফর মি নাও। আই উইল বি ফাইন উইথ দ্য ওয়ে ইট ইজ।’
‘দ্যাটস গুড।’ বলি, আমি চলে যাওয়ার পর গোসল করে নেবে। ও পাশের ক্লোজেটে পরিষ্কার টাওয়েল আছে। ওগুলো ব্যবহার করতে পারো। আর তোমার কাপড় চোপর নিশ্চয়ই ওই রুমে।
ত্রস্তে বলে ওঠে, হ্যাঁ! ওগুলো কিভাবে ফেরত পাবো!
বলবো মহিলাকে দিতে। দিলে ভালো, নইলে কিছু কিনতে হবে।
না না, কেনা দরকার নাই। যে করেই হোক, ব্যাগটা ওখান থেকে আনতে হবে।
আচ্ছা চেষ্টা করবো। তাতে কি মূল্যবান কিছু আছে? মানে টাকা পয়সা অলংকার জাতীয় কিছু-
না না সেসব কিছু নাই। জামা কাপড় পরিধেয়।
বলি, ও নিয়ে অত চিন্তার কি আছে। দেখা যাক সে কি করে।
ঘড়ি দেখি। দশটা পার হয়ে গেছে। এখনো মহিলার ফোন এলো না। সেলে কল দিতে বলেছি। নাকি সড়াসরি এসে হাজির হবে এখানে। অবশ্য অনুমতি না দিলে রিসেপশন থেকে রুমে আসতে দেবে না। তাহলে কথা বলবো কোথায়! রিসেপশনে! একটা বিশ্রি ব্যপার হয়ে যাবে সেখানে।
ঠিক এ সময়েই ফোন আসে সেলে। অপরিচিত নম্বর। জানতে চাই ওর কাছে মহিলার সেল নম্বর কত। বলে। হ্যাঁ, মহিলাই কল করেছে। একটু স্বস্তি বোধ হয়। ফোন যখন করেছে নিশ্চয়ই এখনো এসে পৌছেনি এখানে।
ধরলে পরিচয় দেয় নিশার আন্টি। বলি, হাই।
হেসে শুধায়, ‘হাও ইউ এনজয়েড লাস্ট নাইট!’
সামান্য ভেবে বলি, ‘উম্, গুড।’ এবার নিশার দিকে বাঁকা চোখে তাকিয়ে মুচকি হেসে বলি, ‘শি ইজ নাইস।’
‘আই টোল্ড ইউ শি ইজ ফ্রেশ! রাইট!’
Disclaimer:
The editorial team is not responsible for the content of the writing.