ভাব দেখে মনে হচ্ছিলো এবার প্রচন্ড রবে একটা চীৎকার দিয়ে উঠবে এবং আমার গলা টিপে ধরবে। কি মনে করে সামলে নেয় খানিকটা। এরপর চাপা গর্জনের মতো বলে ওঠে, হোয়াট? এটা সে বলতেই পারে না। বলো কি করেছো তাকে। কিডন্যাপ করেছো!
শাট আপ। ধমকে উঠি। বলি, বাজে বকবে না।
মহিলা বলেই চলে, আমি তোমাকে পুলিশে দেবো। সে আমার বোনঝি। আমার এখানে থাকবে না, এটা হতেই পারে না। আমার এখানে থাকবে না তো থাকবে কোথায়। এই হংকংয়ে আর কে আছে তার! কে তাকে জায়গা দেবে?
থামিয়ে দিয়ে বলি, আমি তাকে জায়গা দিয়েছি।
বিষ্ময়ে চোখদু’টো বড় হয়ে উঠতে থাকে মহিলার। বলে, তুমি! তুমি তাকে জায়গা দিয়েছো মানে! এক রাতেই পটিয়ে ফেলেছো?
আমরা কেউ কাউকেই পটাইনি। সে তোমার এখানে আর থাকবে না, ব্যাস এটাই শেষ কথা।
চোখ দু’টো এবার লাল হয়ে উঠতে থাকে তার। বলে, কেন! সে তোমার কে?
সে তোমার যেমন কেউ না আমারও কেউ না। একটা বিপদেপরা মেয়েকে আশ্রয় দেয়া, তাকে সাহায্য করা মানুষের কর্তব্য।
চুপসে যায় যেন আমার এ কথায় কিছুটা। সহসা কোন কথা বলেনা। তারপর বলে, কি বলেছে সে তোমাকে!
বলেছে সে প্রস্টিটিউশন করবে না।
ব্যঙ্গ করে হেসে বলে ‘এ্যন্ড শ্লিপ উইথ ইউ লাস্ট নাইট।’
বলি, ‘নো। শি ইজ এন ইন্নোসেন্ট গার্ল। নোবডি স্যুড স্পয়েল এ গার্ল লাইক হার।’
‘দেন হোয়াই ইউ পে?’
‘শি ডিডন্ট টেক এনি মানি। ইউ টুক।’
‘এ্যন্ড নাও ইউ ওয়ান্ট টু ফাক হার ফ্রি-!’ মুখ ভেংচে বলে ওঠে।
ভীষন রাগ ধরে যায় মহিলার এ কথায়। ‘শাট আপ’ বলে বেশ বড় একটা ধমক দেই। বলি, তুমি আমাকে জানো না। তোমাকে বারবার বলেছি আমি এ ধরনের লোক না। ও একটা ইন্নোসেন্ট মেয়ে। তুমি তাকে ধোকা দিয়েছো। মিথ্যা বলে হংকং এনেছো। এখন বাধ্য করতে চাইছো দেহ ব্যবসায়। তুমি জানো তা তুমি করতে পারো না।
চুপ হয়ে শোনে আমার কথাগুলো। আমার শেষ হলে বলে, এসব কথা সে তোমাকে বলেছে!
হ্যাঁ, সব।
মিথ্যা বলেছে।
তাহলে সত্য কোনটা?
একটু চুপ থেকে বলে, সে এ লাইনেরই মেয়ে। দেশে এ কাজ করেছে। এবং এখানে আসার আগে সে রাজী হয়েই এসেছে।
থমকে যাই মহিলার এ কথায়। একটু চুপ থেকে বলি, তাহলে এখন সে তা করতে চাইছে না কেন?
নখরামি করছে। তুমি কি মনে করো হংকংয়ে এসে তোমার কাছেই প্রথম গেছে!
তুমি যে বললে আর কারো কাছে যায়নি।
ওটা আমাদের ব্যবসার পলিসি। সবাইকেই বলতে হয়। বলে এক ঠায় তাকিয়ে তাকে আমার দিকে।
আমি বোঝার চেষ্টা করি কতটুক সত্য বলছে এ মহিলা। কাল রাত থেকে মেয়েটাকে দেখছি, কথা হচ্ছে। না এমন তো মনে হয়নি। মানুষ চিনতে আমার সাধারনত: ভুল হয়না। মহিলা এখন নিজেকে সাধু প্রমান করতে ওর নামে বানিয়ে বলবে. এটাই স্বাভাবিক। আমার মনে ওর সম্পর্কে ঘৃনা তৈরী করে চাইবে যেন ওকে ছুড়ে ফেলে দেই। ঘাগু মহিলা। বুঝতে পেরেছে প্যাচে পরেছে। এখন উল্টো প্যাচ তো কষবেই। আমি তার কথা গায়ে না মেখে বলি, সে সব যাই হোক। যদি তাই হয়ে থাকে, এখন সে আর এ কাজ করতে রাজী নয়।
Disclaimer:
The editorial team is not responsible for the content of the writing.