জাতে চায়নীজ তার ওপর পেশা ব্যবসা। আমি কাস্টমার সে বিক্রেতা। বললে আগামী কাল কেন অনন্তকাল ধরেই অপেক্ষা করবে। বলে, নো প্রবেøম। সে সময় বের করে নেবে। তবে সকালেই যেন একটা কল দেই।
‘ওকে, থ্যাংক ইউ’ বলে ফোন রাখি।
এয়ারপোর্ট যাওয়ার সব চাইতে সস্তা এবং সহজ উপায় হচ্ছে বাস ধরা। চুংকিংয়ের উল্টো দিকেই নাথান রোডের ওপর বাস স্টপেজ। আধা ঘন্টা পর পর আসছে। দোতালা বাস। ভাড়া বিশ ডলার। শহরের ভেতর কয়েকটা স্টপেজ ধরবে। এর পরেই এক্সপ্রেস। একটানে চলে আসে এয়ারপোর্ট। কোন ঝক্কি ঝামেলা নাই। ভীড়ভাট্টাও কম। বাসগুলো বেশ বড়সড়। নীচে লাগেজ রাখার আলাদা জায়গা।
মিনিট দশেক দাঁড়াতে হলো। এরপর একটা বাস এলে উঠি পড়ি। সীট নেই দোতালায়, একেবারে সামনে। আমি এ বাসে সাধারনত ওপরে এই সীটটাই প্রেফার করি। বসলে সামনে আদিগন্ত দেখা যায়। মনে হয় নিজেই ড্রাইভ করছি।
বাস ছেড়ে দিলে হেলিম এবার যেন পেয়ে বসে আমাকে। এতক্ষন চুলবুলি করছিলো। মওকা পাচ্ছিলো না গলা ছেড়ে কথা বলতে। বসেই বলে, মালটা কেমন?
তাকিয়ে বলি, মালটা কেমন মানে!
জিগাইতেছি জিনিষটা কেমন।
ধমকে বলি, এই মিয়া একটা মেয়ে আবার জিনিষ হবে কেন?
একটু অবাকই হয় যেন। বলে, জিনিষ না! আইচ্ছা যাউক গা, দেখতে কেমন?
হেসে বলি, ভালো।
বয়স?
জিজ্ঞাস করি নাই। তবে পচিশ ছাব্বিশ হবে।
খাপে খাপ। একেবারে মজে যায় যেন। এই মেয়ে সম্পর্কিত কথাবার্ত্তায় এ লোকের কোন ভাষাজ্ঞান থাকে না। যা মুখে আসে বলে ফেলে। বেশ উৎসাহ নিয়ে বলে চলে, সারা রাইত থাকলো আপনের সাথে!
আমার সাথে থাকলো মানে! আমার বিছানায় ঘুমিয়েছে নাকি?
তাইলে কই ঘুমাইলো!
কেন আর একটা বেড আছে না রুমে।
যেন একটু হতাশ হয়। বলে, দুইজন দুই বিছানে ঘুমাইলেন! তাইলে কাজকাম?
কাজকাম মানে? এবার শক্ত একটা ধমক দিতে হয়। বলি, আপনি কি এই সব আজেবাজে ব্যপার ছাড়া আর কিছু ভাবতে পারেন না! মেয়ে হলেই তার সাথে শুতে হবে!
আরে সাহেব, এই রকম একটা অল্প বয়সী মাইয়া সারা রাইত থাকলো রুমে, আপনি খালি চাইয়াই থাকলেন! আপনি কি একটা পুরুষ না আর কিছু!
ধমকে বলি, পুরুষ হলেই কোন মেয়ে পেলে তার ওপর ঝাপিয়ে পড়তে হবে!
ধমকে কাজ হয়। চুপ হয়ে যায়। একটু পর আবার বলে ওঠে, আইচ্ছা, চিনেন না জানেন না এই যে মাইয়াটারে একলা রাইখ্যা আইলেন রুমে, যদি সব কিছু নিয়া পলায়!
হেসে বলি, কি নিয়ে পালাবে! কয়েকটা শার্ট প্যান্ট লুঙ্গি?
ট্যাকা পয়সা!
সে তো আমার পকেটে। কার্ডে। আর ওই কয়টা কাপড় চোপর নিয়ে যদি পালায়, যাবে কদ্দুর?
মাথা নেড়ে সায় দেয়। বলে, তা অবশ্য বেশী দুর যাইতে পারবো না। আইচ্ছা এখন কন, কি বুঝলেন?
কিসের কি বুঝলেন?
লাইনের কিনা।
লাইনের হলে আমি তাকে জায়গা দিতাম!
ক্যামনে শিওর অইলেন?
Disclaimer:
The editorial team is not responsible for the content of the writing.