বলি, দ্যাখেন দুনিয়ার এত ভালো মন্দ বুঝি আর একটা মানুষ দেখে বুঝতে পারবো না সে ভালো না খারাপ! মেয়েটা আসলেই ভালো। একটা ভালো মেয়ে নষ্ট হতে চাইছে না। আমার ওপর আস্থা এনেছে। বিশ্বাস করেছে আমাকে দিয়ে তার কোন ক্ষতি হবে না।
হেলিম একটুক্ষন ভাবে চুপ থেকে। তারপর বলে, কি জানি ভাই, এত বছর এইখানে আছি, এই রকম কাহিনী কোনদিন শুনি নাই। তয় শোনেন, আমি কিন্তু একবার দেখলেই কইয়া দিবার পারুম লাইনের না বেলাইনের। চুংকিং মিরাডরের সামনে দিয়া হাইটা বেড়াইন্যা সব মাইয়ারে আমি চিনি। চায়নীজ ইন্ডিয়ান, মঙ্গোলিয়ান, ফিলিপাইন্যা, থাই কোন মাইয়া কিমুন, কার কত রেট তাও কইয়্যা দিবার পারি। আমার চোখ ফাকি দিবার পারবো না কেউ। ঠিক আছে?
আচ্ছা ঠিক আছে। এখন এই আলাপ বাদ দেন। বলে প্রসঙ্গ বদলাতে চাই। হঠাৎ মনে হয়ে সেই যে রুম থেকে এলাম, মহিলার সাথে কথা বলে বের হয়ে আসার পর থেকে মেয়েটার একবার খোঁজ নেয়া হলো না। ছি:, একবার ফোন দেওয়া উচিত ছিলো! জানানো উচিত ছিলো মহিলার সাথে কি কথাবার্ত্তা হলো। নিশ্চয়ই টেনশনে আছে। হয়তো মনে করছে আমি এখনও ওখান থেকে বেরই হই নাই।
হেলিম কিছু বলতে যাচ্ছিলো, থামিয়ে দিয়ে বলি, দাঁড়ান তো, সেই যে এসেছি মেয়েটার একবার খবরও নেওয়া হয় নাই। কি মনে করবে বেচারি। দাঁড়ান একটু কথা বলি।
গেষ্ট হাউজের নম্বরে টিপি। অপারেটর লাগিয়ে দিলে রিং বেজে চলে। বেশ কয়েক রিংয়ের পর ধরে। আস্তে অনেকটা ভয়ের কন্ঠে বলে ‘হ্যালো!’
বলি ‘ইটস্ মি। হাও আর ইউ!’
ত্বড়িতে বলে ‘অল রাইট। ইউ স্টিল দেয়ার?’
বলি, না, বেশ আগেই বের হয়ে এসেছি। তবে সরি, ফোন দিতে দেরী হয়ে গেলো।
বেশ উদ্বিগ্ন কন্ঠে জানতে চায় কি বললো মহিলা। পাসপোর্ট টিকেট ফেরত দিয়েছে কি না।
সংক্ষেপে জানাই মহিলার সাথে কি কথা হলো। শুনে একটু চুপ থেকে বলে, তোমার কি ধারনা, দিয়ে দেবে?
বলি, দেখা যাক। কাল পর্যন্ত সময় দিয়েছি। আশা করছি না দেয়ার বিপদগুলো সে বুঝবে।
শুনে চুপ থাকে। আমি প্রসঙ্গ পাল্টে বলি, ‘ডোন্ট ওরি। সো, হোয়াট ইউ ডুয়িং?’
সঙ্গে সঙ্গে জবাব দেয় না। একটুপর আস্তে বলে, ‘ওয়েটিং।’
বলার ভঙ্গিতে আমিও চুপ হয়ে যাই। তারপর একটু রহস্যমতো করে শুধাই ‘ফর-?’
আবার চুপ। কান পেতে থাকি। একটুপর অষ্ফুটে বলে ‘ফর মাই গড্।’
মূহুর্ত কয়েক থমকে থেকে হেসে দেই। তারপর বলি, ‘ইওর গড্ ইজ অলওয়েজ উইথ ইউ।’
ও-ও হেসে বলে ‘আই নো দ্যাট। বাট হয়্যার আর ইউ নাও!’
‘ও: আই এ্যম অন ওয়ে টু এয়ারপোর্ট। সরি, কুডন্ট টেল ইউ ইটস এ্যন ইমারজেন্সি।’
বলে, কখন ফিরছো!
একটু দেরী হবে। তিন চার ঘন্টা লেগে যেতে পারে।
ও:।
শুধাই, গোসল করেছো?
এখনও না।
ঠিক আছে, এখন করে নাও। এরপর লাঞ্চের অর্ডার দাও। কি করে করতে হবে মনে আছে তো?
একটু হেসে বলে, আছে।
‘গুড গার্ল। ওকে দেন। সী ইউ সুন, বাই’।
ও-ও ‘বাই’ বলে। ফোন রেখে দেই। হেলিম মুখের দিকে তাকিয়ে শুনছিলো কথা। ফোন রাখতে বড় বড় চোখ করে। বলে, প্রেমিকার লগে কথা কইলেন মনে অইলো!
হেসে বলি, আসলেই মেয়েটা অদ্ভূত সুন্দর। দেখলে বুঝবেন, প্রেমে পরার মতোই।
আপনের পছন্দ অইছে?
তাকাই তার দিকে। বলি, পছন্দ হলে কি করবো!
প্রেমে পইড়্যা যাইবেন!
Disclaimer:
The editorial team is not responsible for the content of the writing.