আমি জানিনা। তবে আমিও পাল্টা থ্রেট করেছি পাসপোর্ট টিকেট না দিলে তাকে এক্সপোজ করে দেবো। তার আসল রূপ ফাঁস করে দেবো। কোন মেয়েকে সে আর পাবে না। শুনে বলে, তাতে তার সম্মানহানি হলেও ব্যবসা বাড়বে।
সেটা কিভাবে!
বলে, মেয়েরা বেশী বেশী করে গোপনে তার সাথে যোগাযোগ করবে বিদেশে আসার জন্য। সব মেয়েই আমার মতো নয়।
হেসে ফেলি এ কথায়। বলি, দেখছি কোনদিক দিয়েই তার কোন ক্ষতি হচ্ছে না। তাহলে তো মুশকিল।
আবার একটু ঘাবড়ে যায়। বলে, তাহলে কি হবে আমার! সে কি দেবে না!
দেবে না তা ঠিক বলা যাবে না। এখানকার থানা পুলিশের ভয়টা কাজ দিতে পারে। আফটার অল এটা বিদেশ। সে এটা ভালো করে জানে এসব দেশের আইনকানুন খুব কড়া। একবার ফেঁসে গেলে শুধু থানা হাজতই নয়, ভবিষ্যতে এ দেশে আসাও তার বন্ধ হয়ে যেতে পারে। আমার ধারনা সে স্মার্ট, এ ব্যপারগুলো বুঝবে।
যদি তার আগেই সব কিছু নিয়ে হংকং ছেড়ে পালিয়ে যায়।
চেন্নাই ব্যাক করতে চাইলে আগামীকাল ড্রাগনের ফ্লাইট আছে। তিনটায়। কথা অনুযায়ী সকালে তাকে ফোন দেবো। যদি না পাওয়া যায় বা বোঝা যায় পালাতে পারে পুলিশকে জানিয়ে রাখতে হবে। পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে এয়ারপোর্টে খবর দিয়ে রাখলে আর হংকং ছাড়তে পারবে না। এরপর পুরো ব্যপারটাই পুলিশের হাতে চলে যাবে।
এবার আরো ঘাবড়ে যায়। একটু কাঁদোকাঁদো কন্ঠে বলে, তাহলে আমি কি করে দেশে ফিরে যাবো!
সেক্ষেত্রে তোমাকে অপেক্ষা করতে হবে।
কত দিন!
যতদিন পাসপোর্ট টিকেট না পাওয়া যায়।
সভয়ে বলে, ও মাই গড্! ততদিন তুমি আমাকে এখানে থাকতে দেবে!
তাকাই গভীর দৃস্টিতে। আমার এখানে থাকতে দেবো মানে! আমি নিজেই তো জানি না কতদিন আছি হংকং। দুপুরে হেরিয়েল বললো চেয়ারম্যান ফিরবে দুই একদিনের মধ্যে। তার মানে তার পর যে কোন দিনই হয়ে যাবে প্রগ্রাম। খবর পেলে সঙ্গে সঙ্গে ফ্লাই করতে হবে। তখন!
একটু ভেবে নিয়ে বলি, শোন আমার সম্পর্কে তোমার কিছু জানা থাকা দরকার। তাকায় মুখ তুলে। বলে চলি, আমি এ শহরে থাকি না। আমিও তোমার মতো একজন ভিজিটর। তবে এসেছি ব্যবসার কাজে। কাল সকালেই এসে নেমেছি।
শুধায়, তুমি কি বাংলাদেশে থাকো?
হ্যাঁ।
কি করো সেখানে?
ব্যবসা। মাঝে মাঝে ব্যবসার কাজে এখানে আসতে হয়। দু’চার দিন থাকি। তারপর চলে যাই।
এবার কয় দিন থাকবে?
জানি না। এখান থেকে সিওল যাবো।
জানতে চায়, সিওল কোথায়।
বলি, কোরিয়া। সেখানে আমার একটা মিটিং আছে। আমি অপেক্ষা করছি মিটিংয়ের তারিখটা হওয়ার জন্য।
কবে হবে তোমার মিটিং?
এখনো ঠিক নাই। তবে যেদিনই মিটিং তার আগের দিন আমাকে সেখানে গিয়ে পৌছুতে হবে। যদি পরশু হয়, কালই চলে যেতে হবে।
শুনে রীতিমতো ঘাবড়ে যায়। বলে, এ্যাঁ:! তাহলে! তুমি চলে গেলে আমি কোথায় যাবো।
একই প্রশ্ন তো নিজেই নিজেকে করে চলেছি। যেভাবেই হোক মেয়েটার দায়িত্ব নিয়ে ফেলেছি কাঁধে। ওর সমস্যার সমাধান না করে দিয়ে আমি যাই কোথায়! সিওল চলে গেলে ও থাকবে কোথায় বা কিভাবে ফিরে যাবে দেশে। আর কে সাহায্য করবে তাকে! রাস্তায় তো ফেলে দেয়া যাবে না। না: আবার জট পাকিয়ে যায় সব কিছু।
আমাকে চুপ দেখে ভয় পেয়ে যায় যেন। বলে, তুমি কি আমাকে ফেলে রেখে চলে যাবে!
Disclaimer:
The editorial team is not responsible for the content of the writing.