ভালো। বলে টিভির দিকে চোখ দেই।
একটুক্ষন নীরবতা। আমি আর তাকাই না ওর দিকে। হঠাৎ বলে ওঠে ‘ইউ লাইক টু টেক সাম ড্রিংকস?’
চমকে উঠি। ড্রিংক নেবো কিনা! বলি, কোন ড্রিংক!
যে কোন কিছু। বিয়ার বা হুইষ্কি। ফ্রিজে তো দু’টোই আছে।
একটু চুপ থেকে বলি, তাতে তুমি কিছু মনে করবে না?
অবাক চোখে তাকায়, কেন!
তোমার সামনে মদ খাবো-
কথাটা মুখ থেকে কেড়ে নিয়ে বলে, তাতে আমি কিছু মনে করবো কেন! ছেলেরা তো ড্রিংক করে। এবং তুমি একটা ছেলে।
ছেলে হলেও একটা মেয়ের সামনে বসে ড্রিংক করাটা কি অশোভন নয়!
এবার হেসে বলে, সেই মেয়েটাই তোমাকে অনুমতি দিচ্ছে, অতএব তুমি খেতে পারো।
একটুখন ভাবতে হয়। অনুমতি দিয়েছে তার মানে ওর সামনে খেলে কিছু মনে করবে না। কিন্তু এখন কি খাওয়া উচিত হবে তা! আড়চোখে ভিসিআরের ঘড়ির দিকে চোখ আয়। রাত বেশ। যদি বসি একটা দুইটায় শেষ হবে না। ঘুমিয়ে না পড়া পর্যন্ত যদি খাওয়ার নেশায় পেয়ে যায় সকালে সময়মতো ওঠা যাবে না । শেষে সব কাজ একেবারে গুবলেট হয়ে যাবে। না না, হুশ থাকতে বেহুশ না হওয়াই ভালো।
বলি, রাত অনেক।
এখনো দু’টো বাজেনি। তুমি খেতে চাইলে খেতে পারো। আমি জানি আসলে আমি থাকাতে তুমি সহজ হতে পারছো না।
বাধা দিয়ে বলি, কথাটা ঠিক বললে না।
আমি যদি না থাকতাম এখন তুমি নিশ্চয়ই ড্রিংক করতে।
এবার আত্মপক্ষে একটু কৈফিয়তের মতো বলি, আমি সন্ধ্যা রাতে ড্রিংক নিয়েছি এবং তা একেবারে কম ছিলো না।
সে তো অনেক আগে।
আসলে আমার এখন খেতে ইচ্ছা করছে না।
সন্দিগ্ধ চোখে তাকায়। তারপর গলার কাছটায় চিমটি দেয়ার মতো ধরে বলে ‘সোয়েয়ার!’ আমি হেসে দেই ওর ভঙ্গি দেখে। বলে চলে, দেখো আমার কারনে তোমার কোন অসুবিধা হলে আমার খুব খারাপ লাগবে কিন্তু!
আমি হাসতে হাসতেই বলি, তোমাকে বিব্রত হতে হবে না। তোমার কারনে আমার কোন অসুবিধা হচ্ছে না।
একটু আশ্বস্ত হয় যেন। সোজা হয়ে উঠে বসি। বলি, ওকে, নাও লেটস গো টু শ্লিপ।
চকিতে বলে ওঠে ‘উইথ ইউ?’ বলে হেসে দেয় সঙ্গে সঙ্গে।
আমিও হেসে বলি ‘নটি গার্ল!’ সঙ্গে সঙ্গে যোগ করি ‘স্যুড আই টার্নঅফ দ্য লাইট নাও?’
ও-ও বলে ওঠে ‘ইয়েস ইউ ক্যান।’
এবং আমি সত্যি সত্যিই লাইট অফ করে দিই। মূহুর্তে আধার নেমে আসে রুমে। মনে হলো যেন একটু হতচকিত হয়ে পরে ও। টিভি চলছিলো। তার আলোতে বেশ মায়াবি হয়ে উঠেছিলো পরিবেশ। দেখতে পাই খানিকটা হতভম্বের মতো তাকিয়ে রয়েছে আমার দিকে। একটু হেসে বলি, শুয়ে পড়ো। কাল অনেক কাজ। মনে আছে মহিলার কাছ থেকে পাসপোর্ট টিকেট উদ্ধার করতে হবে। যদি কাল পেয়ে যাই ভালোয় ভালোয়, তারপর আর দুই দিন।
কি দুই দিন?
আমরা দু’জন, এক রুমে, এভাবে।
কোন কথা না বলে লেপটা গায়ের ওপর টেনে নিয়ে শুয়ে পড়লো। আমিও শুয়ে পড়ি। শুধাই টিভি অফ করে দেবো কিনা!
সহসা কিছু বলে না। একটু চুপ থেকে বলে, দিতে পারো।
পর মূহুর্তে টিভিটা অফ করে দেই। বলি ‘হ্যাভ এ নাইস শ্লিপ।’
‘ইউ টু। গুড নাইট।’
Disclaimer:
The editorial team is not responsible for the content of the writing.