একটু থতমতই খেয়ে যাই। মনে হচ্ছিলো একটা সমঝোতা হয়ে যাচ্ছে। ‘লেটস্ গো’ মানে তা হলো না। তার মানে সে পাসপোর্ট টিকেট দেবে না। এবার আমাকে ইন হতে হয়। গম্ভীর কন্ঠে বলি, ‘হোয়াট শি সে’জ।’
নিশা বলে ‘শি ওয়ান্টস মী টু গো চেন্নাই উইথ হার। কাম ব্যাক হিয়ার এ্যান্ড স্টে উইথ হার। নো ওয়ে! আই ডোন্ট ওয়ান্ট টু সী হার ফেস নেক্সট টাইম।’ বলে অন্য দিকে তাকায়।
বেশ কড়া চোখে তাকাই মহিলার দিকে। সঙ্গে সঙ্গে সে তামিলে কিছু বলে ওঠে নিশার উদ্দেশ্যে। নিশা তার কোন জবাব দেয় না। একবার তাকায় আমার দিকে। তারপর আমার একটা হাত ধরে বলে ‘লেটস্ গো!’
বলি ‘ওয়েট।’ ফিরি মহিলার দিকে। শক্ত কন্ঠে বলি, ওকে ম্যাম, যথেষ্ঠ হয়েছে। তুমি কি ওর ডকুমেন্ট ফেরত দিচ্ছো? শুধু বলো ইয়েস অর নো।
মহিলা কোন কথা বলেনা। কিছুক্ষন নীরবতা। আমি এবার তাগাদা দেই। ‘হারি আপ। মাই ফ্রেন্ড ইজ ওয়েটিং আউট সাইড।’
এবার সে বলে ওঠে ‘ইউ থ্রেটনিং মি?’
‘নো, আই এ্যাম ট্রাইয়িং টু হেল্প ইউ এ্যান্ড হার, বোথ।’
‘হু আর ইউ অফ হার?’
নিশা বলে ‘হি ইজ মাই গড।’
ভেংচে ওঠে মহিলা ‘গড ফর ফাকিং ফ্রি!’
‘উইল ইউ শাট আপ!’ বলে একটা শক্ত ধমক দেই মহিলাকে। এরপর ব্যস্তভাব দেখিয়ে বলি, দ্যাখো, আমার আর নষ্ট করার মতো সময় নাই। শেষ বারের মতো জানতে চাইছি তোমার কি কিছু বলার আছে?
কোন কথা বলেনা। আমি অপেক্ষা করছি তার যে কোন প্রতিক্রিয়ার। একটা সন্ধিক্ষন অবস্থা। মহিলা তাকায় নিশার দিকে। তারপর বিরবির করে কিছু বলতে বলতে উঠে দাঁড়ায়। গিয়ে ব্যাগ খুলে একটা প্যাকেট বের করে। তা থেকে একটা পাসপোর্ট আর এয়ার টিকেট দেখে নিয়ে ছুড়ে ফেলে দেয় মেঝেতে। সঙ্গে সঙ্গে হড়বড় করে কিছু বানী। সম্ভবত গালি। নিশা কিছু বলতে যাচ্ছিলো। হয়তো জবাব। আমি ইশারায় চুপ থাকতে বলি। ইঙ্গিত করি পাসপোর্ট টিকেট তুলে নিতে। নিশা কোন কথা না বলে উঠিয়ে নেয় তা। দেয় আমাকে। চোখ বুলিয়ে দেখি হ্যা ওরই।
মহিলা বকর বকর করেই চলে। নিশা গিয়ে ওর কাপড় চোপর গুছিয়ে ব্যাগে ভড়তে থাকে। সব ভড়ে ব্যাগের চেনটা টেনে দেয়। হয়ে গেলে তাকায় আমার দিকে। শুধাই সব নিয়েছে কিনা। সায় দেয় মাথা নেড়ে। এবার মহিলাকে বলি ‘ইউ আর স্মার্ট। বোথ অব ইউ ফরগেট হোয়াট হ্যাপেন্ড হিয়ার। গো ব্যাক চেন্নাই এ্যন্ড সেটেল দ্য ম্যাটার এমিক্যাবলি, ইউ আন্ডারস্ট্যান্ড?’
কোন কথা বলেনা মহিলা। একবার আমার দিকে অগ্নিঝড়া দৃস্টিতে তাকিয়ে মাথা নীচু করে। লক্ষ্য করি এ সময় শাড়ির আচলের খুট দিয়ে চোখ মোছে। পরাজয় হজম করার চেষ্টা।
নিশাকে বলি ‘লেটস্ গো।’ রুম থেকে বের হয়ে আবার বলি মহিলার উদ্দেশ্যে, কখনো কোন ভালো মেয়েকে নষ্ট করার চেষ্টা কোর না, বুঝেছো? যাই হোক, তোমার কাছে আমার নম্বর আছে। যদি কোন দরকার মনে করো ফোন কোর। আমি তোমাকেও সাহায্য করতে চেস্টা করবো, ওকে?’
তাকায় একবার। আমি থ্যাংক ইউ, বাই বলে বাইরে আসি। রুম থেকে বের হওয়ার আগে নিশাও মহিলার উদ্দেশ্যে কিছু বলে তামিলে। সে কোন জবাব দেয় না। আমরা বাইরে এসে দরজাটা টেনে দেই। ব্যাগ বড়টা আমার কাছে। ছোটটা ও নেয়। ব্যাগ মানে একটা মাঝারি আকারের টানা কেবিন ব্যাগ আর একটা সাইড ব্যাগ। বাইরে এলে হেলিম এগিয়ে আসে। শুধায়, কাম অইছে?
হেসে বলি, হবে না মানে! চলেন।
নিশার ব্যাগটা হেলিম নিয়ে নেয়। লবি ধরে হাটতে হাটতে তাকাই নিশার দিকে। ভীষন উৎফুল্ল। মনে হলো নতুন জীবন পেয়েছে। আমাকে বারবার থ্যাংক ইউ বলতে লাগলো। হেলিমের আগ্রহ জানতে কি বলে মহিলা, এত দেরী হলো কেন।
বলি, ভাইরে মহিলার চালান পুঁজি সব গেছে। এত সহজে কি কেউ হার মানতে চায়!
Disclaimer:
The editorial team is not responsible for the content of the writing.