একটা সিগারেট ধরাই। বলি, হুঁ তারপর?
এরপর বাকি ছিলো তোমাকে পরীক্ষা করা। শাড়ি খুলতে গেছিলাম দেখতে তুমি আসলেই কতটুকু নির্ভরযোগ্য হবে।
ধরো আমি যদি তোমাকে এরপর বিছানায় নিতে চাইতাম!
আমাকে যেতে হতো।
অবাক হয়ে বলি, যেতে হতো মানে!
আমি যেতে বাধ্য ছিলাম। কারন তার জন্য তুমি টাকা দিয়েছিলে। তেমনটি হলে আমি ধরে নিতাম আমার আর মুক্তি নাই। আমি তোমাকে বিশ্বাষ করেছিলাম। ধারনা ছিলো তুমি আর দশজনের মতো না। আমাকে একটা ভোগ্যবস্তু মনে করবে না, যদিও নিজের সম্পর্কে আমার ধারনা আমি আকর্ষনীয়া, দেখতে সেক্সি। যে কোন পুরুষেরই আদর্শ কাম্য। যদি তুমিও আর দশজনের মতো করতে ধরে নিতাম কোন পুরুষের কাছ থেকেই আমি সাহায্য পাবো না। সবাই আমাকে শুধু ব্যবহারই করবে। আমার মনের যে অবস্থা তখন, তাতে কি সিদ্ধান্ত নিয়ে বসতাম জানিনা। হয়তো ওই নরকের জীবনে গিয়েই পড়তাম। সে রাতের ওই মূহুর্তটা ছিলো আমার জীবনের একটা ডিসাইসিভ মোমেন্ট। তার আগের কয়েক দিনের যে মানসিক ধকল, রীতিমতো বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম। মনের জোর আর রাখতে পারছিলাম না। মনে হচ্ছিলো যে ফাঁদে পরে গেছি সেখান থেকে আর বের হতে পারবো না।
ধীরে ধীরে কেটে কেটে কথাগুলো বলে গিয়ে থামে। একটু হেসে তাকায় মুখের দিকে। তারপর বলে, কিন্তু তুমি যখন আমাকে ধমক দিলে মনে হলো সাক্ষাৎ ভগবান যেন আমার সামনে দাঁড়িয়ে। কেবল ভগবানই হন নির্লোভ নির্মোহ। তুমি আমাকে সাহায্য করতে রাজী হলে, মনে হলো আমি বেঁচে গেলাম। কারন ভগবান যখন কোন দায়িত্ব নেন সে কাজ তিনি করে ছাড়েন। এখন বলো আমার কি কিছু করা উচিত নয় আমার ভগবানের জন্য?
হেসে বলি, এই যে বললে ভগবান হন নির্লোভ নির্মোহ। ভগবানকে কি কখনো প্রতিদান দিতে হয়?
আমার ভগবান তো পাথরের গড়া কোন মূর্ত্তি নয়!
বলি, তোমার সাথে কথায় পারা যাবেনা। এখন ভগবান উপাখ্যান রাখো। মনে হয় আমরা সেখান থেকে আরো এগিয়ে এসেছি। দু’জনের এখন যে সম্পর্ক তার অন্য একটা নাম দেয়া যেতে পারে, তুমি কি বলো!
একটু ভেবে বলে, ঠিকই বলেছো। তুমিই বলো।
কি বলবো?
কি নাম দেয়া যেতে পারে আমাদের সম্পর্কের।
ভাবতে থাকি। কি নাম দেয়া যেতে পারে। সব চেয়ে বড় কথা আমাদের সম্পর্কটাই বা কি!
হঠাৎই মুখ ফষ্কে বের হয়ে যায়, তুমি কি কাউকে ভালবাসো!
এমনভাবে তাকায় যেন ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেছে কিছুটা এ প্রশ্নে। আমি নিজেও একটু থতমত খেয়ে যাই প্রশ্নটা করে। মূহুর্তে সামলে নেই। ওকেও সহজ করতে বলি, বলছি চেন্নাইতে এমন কি কেউ আছে যে তোমাকে ভালোবাসে এবং তুমিও তাকে ভালবাসো।
এবার বেশ জোড়েই হেসে ওঠে এবং বলে, অনেকেই আছে যারা আমাকে ভালবাসে।
এবং তুমিও তাদের সবাইকেই ভালবাসো!
চুপ হয়ে যায়। তারপর বলে, ঠিক ভালবাসা নয় তবে আমি একজনকে পছন্দ করি।
কে সে?
আমার এক কাজিন। বলে সামান্য গম্ভীর হয়। তারপর হেসে উঠে বলে চলে, কিন্তু জানো আমি যত তাকে ভালোবাসতে চাই সে আমাকে তত বিছানায় নিতে চায়।
বলে হাসতে থাকে হি হি করে। আমি শুধু অষ্ফুটে ‘ও:’ উচ্চারন করি।
লক্ষ্য করে তা। হাসি থামিয়ে বলে, ও: মানে!
Disclaimer:
The editorial team is not responsible for the content of the writing.