লন্ডন পুলিশের নিয়ম-শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। শুধু তা-ই নয়, এই প্রতিষ্ঠানটির ওপর থেকে জনসাধারণের আস্থা হারিয়ে গেছে এবং প্রাতিষ্ঠানিক বর্ণবাদ, দুর্ব্যবহার এবং স্বজাতিপ্রীতির দোষে দুষ্ট এখন পুলিশের এই বিভাগ। পুলিশের একটি দাপ্তরিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
২০২১ সালের মার্চে পুলিশের এক কর্মককর্তা সারাহ এভারার্ড নামের এক তরুণীকে লন্ডনের একটি রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ ও হত্যা করে। ওই ঘটনার পর লন্ডন মেট্রোপুলিশের বিষয়ে তদন্তের জন্য লুইস কেসিকে নিয়োগ দেওয়া হয়। তবে ওই সময়েই ডেভিড ক্যারিক নামের আরেক পুলিশের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ডজনেরও বেশি ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের অভিযোগ ওঠে।
কেসি তার ৩৬৩ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে জানিয়েছেন, যৌন নিপীড়নের অভিযোগগুলো সাধারণত ঢেকে রাখা হয় বা ছোট করে দেখানো হয়। মেট্রোপুলিটন পুলিশে কর্মরত ১২ শতাংশ নারী জানিয়েছেন, তারা কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি বা আক্রমণের শিকার হয়েছেন এবং এক-তৃতীয়াংশ যৌনতার শিকার হয়েছেন।
লেডি ক্যাসি বলেছেন, ব্রিটিশ পুলিশের জীবনে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। পুলিশের ওপর থেকে জনগণের আস্থা কমে গেছে।
তিনি বলেছেন, ‘এই প্রতিবেদনটি যথাযথ, কঠোর এবং অপ্রতিরোধ্য। এর অনুসন্ধানগুলো খুবই জোরালো এবং অনেকের পক্ষে নেওয়া কঠিন হবে। তবে এটি চ্যালেঞ্জের মাত্রা সম্পর্কে কাউকেই সন্দেহের মধ্যে ফেলে দেবে না।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘আমরা ব্যাপকভাবে নিপীড়ন, বৈষম্য, প্রাতিষ্ঠানিক স্বজনপ্রীতি, দৈন্যতা, বর্ণবাদ এবং অন্যান্য অগ্রহণযোগ্য আচরণ খুঁজে পেয়েছি। মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে ‘নারী ও শিশুরা তাদের প্রাপ্য সুরক্ষা এবং সমর্থন পায় না।’