ঈশ্বরদীতে ২০০ পথশিশুদের মাঝে উন্নতমানের খাবার বিতরণের মধ্যদিয়ে ‘তারুণ্য-৭১’ নামে একটি সংগঠন আত্মপ্রকাশ করেছে। রোববার সন্ধ্যায় ঈশ্বরদী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আলোচনা ও খাবার বিতরণের মাধ্যমে কলেজ- বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী এবং সাংস্কৃতিক কর্মীদের নিয়ে ‘তারুণ্য৭১’ নামে সংগঠনটির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করা হয়।
উদ্যোক্তরা জানান, দেশে করোনাকালীন সময়ে কষ্টে থাকা পথশিশুদের মাঝে তারা খাদ্য বিতরণ করবে। যাদের ঘরে খাবার নেই এমনি অসহায় মানুষ, পথশিশু, দরিদ্র, খেটে খাওয়া মানুষ, যাদের আয় নেই এসব মানুষের জন্য একবেলা খাবার তুলে দিবে। আত্মপ্রকাশকালেই সংগঠনের পক্ষ থেকে রেলগেট, স্টেশন, বাজার, কাচারিপাড়াসহ পৌর এলাকার বেশ কয়েকটি স্থানে ২০০ জন পথশিশুদের মাঝে উন্নতমানে খাবার পৌছে দেয়া হয়।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন শিক্ষার্থী সোহানুর রহমান। সভায় বক্তব্য দেন, ঈশ্বরদী নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদস্মৃতি পাঠাগারের সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ কিরন, সিনিয়র সাংবাদিক ও বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক সংগঠক খোন্দকার মাহবুবুল হক দুদু, ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক শফিকুল ইসলাম শামীম, বিনা পয়সার পাঠশালা প্রতিষ্ঠাতা তাহেরুল ইসলাম, সংগঠনের সদস্য রিয়াদ ইসলাম ও খোন্দকার সাজিদ মাহমুদ মিথুন প্রমুখ।
বক্তব্যে নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদ স্মৃতি পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ কিরণ তরুণদের উদ্দেশ্যে বলেন, ”সবার আগে দেশকে ভালোবাসতে হবে। তোমাদের মেধা দেশের অগ্রগতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বড় হয়ে কেউ বিজ্ঞানী কেউ ডাক্তার কেউ ইঞ্জিনিয়ার হবে। সকলকে অবশ্যই ভালো মানুষ হতে হবে।সেই সঙ্গে দেশের জন্য অগাধ প্রেম থাকতে হবে। তোমরাই বড় হয়ে আমাদের সকল ব্যর্থতাকে সফলতায় ভরে দেবে।”
সিনিয়র সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠক খোন্দকার মাহাবুবুল হক দুদু বলেন, ‘তারুণ্যের অনুপ্রেরণা বয়োজ্যেষ্ঠদের জন্যও পাথেয় হতে পারে। তারুণ্যের হাত ধরে দেশ এগিয়ে যাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ও বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশ মাথা উচু করে দাঁড়াবে।” চিকিৎসক শফিকুল ইসলাম শামিম বলেন, ‘আমরা যদি ভালো হই, বাংলাদেশ ভালো হবে। তাই আমাদের কাজের কাজের সাথে থাকতে হবে।’
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ সালেহীন বিশাল বলেন, ‘ভালো কাজের জন্য দরকার ইচ্ছাশক্তি। আমাদের সেই ইচ্ছাশক্তি আছে। লেখাপড়ার অবসরে আমরা সমাজসেবা তথা দেশের উন্নয়নে কাজ করতে চাই। এমন ইচ্ছাশক্তি থেকে তারুণ্য- ৭১ সংগঠনের আজ আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু। শুধু চাই বড়দের অনুপ্রেরণা, স্নেহ ও শাসন। আমরা তরুণরা অবশ্যই ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবো।’ বক্তব্যে শেষে তারুণ্য-৭১ সংগঠনে পক্ষ থেকে খাবার বিতরণ করা হয়। পরবর্তী কর্মসূচি ফলজ, ফলদ ও ওষধি গাছ লাগানো বলে সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়।