বাংলাদেশে মহমারি করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় পথশিশু ও সুবিধাবঞ্চীত মানুষের মধ্যে মাস্ক বিতরন ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে গুড নেইবার্স বাংলাদেশের সহযোগীতায় কার্যক্রম শুরু করেছে স্ট্রিট চিল্ড্রেন এক্টিভিস্ট নেটওয়ার্ক, স্ক্যান বাংলাদেশ।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে সুবিধাবঞ্চীত পথশিশুদের মাঝে মাস্ক বিতরন ও গণপরিবহনে সচেতনতামূলক স্টিকার বিতরনের মধ্য দিয়ে কার্যক্রমের সূচনা করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর মারুফ আহমেদ মুনসুর। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জনাব হাজী সুলতান মিয়া, সংরক্ষিত আসন ৩-এর কাউন্সিলর মিনু রহমান, স্ক্যান বাংলাদেশের সভাপতি ও ঢাকা আহছানিয়া মিশনের সহকারী পরিচালক জনাব জাহাঙ্গীর হোসেন, সহ-সভাপতি ও আপন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক জনাব আফতাবুজ্জামান, কমলাপুর রেলওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জনাব রাকিবুজ্জামানসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা।
জনাব জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, করোনাকালীন সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে আছে পথশিশু ও ভাসমান মানুষরা, একদিকে যেমন কাজ না থাকার কারণে আয় কমে গেছে, তেমনি পথে থাকার কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকি চরম মাত্রায় আছে। বিশেষ করে হাট-বাজার, রেলওয়ে স্টেশন, বাস-টার্মিনাল এলাকায় পথশিশুরা নিজেরা যেমন আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে আছে তেমনি অন্যদেরও আক্রান্ত করার ঝুঁকি আছে।
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় পথশিশু ও সুবিধাবঞ্চীত মানুষের সুরক্ষায় গুড নেইবার্স বাংলাদেশ ও স্ক্যান বাংলাদেশ যৌথভাবে কার্যক্রম শুরু করেছে এবং এই কার্যক্রম চলমান থাকবে। জনাব জাহাঙ্গীর হোসেন এই সব শিশুর সুরক্ষায় নগরপিতাকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
মারুফ আহমেদ মুনসুর বলেন, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সিটি করপোরেশন সুবিধাবঞ্চীত মানুষদের খাদ্য সহায়তাসহ সচেতনতাবৃদ্ধিমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করেছে, ব্যক্তিগতভাবে আমরা কাউন্সিলরাও কাজ করছি। ২০১৫ সালে কোন শিশুকে পথে দেখতে না চাওয়ার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যে প্রত্যাশা সেটি বাস্তবায়নে স্থানীয় সরকার, দেশি-বিদেশি সংস্থা, স্থানীয় সংগঠনসহ সকলকে নিয়ে আমরা কাজ করতে চায়। পাশাপাশি করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় পথশিশুদের জন্য আমার ব্যক্তিগত উদ্যোগও চলমান থাকবে।
গুড নেইবার্স বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর জনাব মাঈনুদ্দিন এক সাক্ষাৎকারে বলেন, বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে সাধারণ জনগণকে করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষার জন্য ”নো মাস্ক, নো সার্ভিস” ঘোষণা করেছে। আমরাও মনে করি আর্থ-সামাজিক বাস্তবতায় এর বিকল্প হয়তো নেই। বাংলাদেশ সরকারের সহযোগী হিসেবে ঘোষণার বাস্তবায়ন ও সুবিধাবঞ্চীত মানুষের কল্যাণে স্ক্যান বাংলাদেশের সঙ্গে আমরা এই কার্যক্রম শুরু করেছি। পথশিশুসহ সকল শিশুর সুরক্ষা ও উন্নয়নে আমরা আছি, আগামীতেও কাজ করে যাবো।