লকডাউনের সময় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটে গার্ডেন পার্টি আয়োজনের ঘটনায় পদত্যাগের চাপ বাড়ছে বরিস জনসনের ওপর। তবে বুধবার পার্লামেন্টে জনসন সাফ জানিয়েছেন, তিনি পদত্যাগ করছেন না।
করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে ২০২০ সালের মে মাসে যুক্তরাজ্যে জমায়েত ও পার্টি ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল জনসনের সরকার। ওই সময় গার্ডেন পার্টিতে যোগ দিতে ইমেলের মাধ্যমে অতিথিদের প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটে আমন্ত্রণ জানানো হয়। চলতি মাসের শুরুর দিকে সেই ইমেইল ফাঁস হয়ে যায়। এতেই তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন জনসন। বিরোধী দল লেবার পার্টি তার পদত্যাগ দাবি করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পার্লামেন্টে জনসন তার কর্মকাণ্ডের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। কিন্তু বিরোধী দল লেবার পার্টিসহ ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির অনেক আইনপ্রণেতা নীতি ভঙ্গের দায়ে জনসনের পদত্যাগ দাবি করছেন।
বুধবার কনজারভেটিভ পার্টির প্রভাবশালী নেতা ডেভিড ডেভিস পদত্যাগের আহ্বান জানিয়ে জনসনকে বলেছেন, ‘ঈশ্বরের নামে বিদায় হন।’
লকডাউনের বিধিনিষেধ ভঙ্গ নিয়ে মঙ্গলবার পার্লামেন্টে জনসনের সঙ্গে আইনপ্রণেতা কেয়ার স্টারমারের তীব্র বাদানুবাদ হয়। এরপর ডেভিস দাঁড়িয়ে জনসনের উদ্দেশে বলেন, ক্ষুব্ধ আইনপ্রণেতাদের হাত থেকে প্রধানমন্ত্রীকে রক্ষার জন্য তিনি কয়েক সপ্তাহ কাটিয়েছেন। তবে প্রধানমন্ত্রী ও তার সরকারের বারবার লকডাউনের বিধিনিষেধ ভাঙ্গার প্রতিবেদন আসছে।
প্রাক্তন এই ব্রেক্সিট সেক্রেটারি বলেন, ‘আমি আশা করি আমার নেতারা তাদের পদক্ষেপের জন্য দায় কাঁধে নেবেন। গতকাল তিনি তার উল্টো কাজ করেছেন। তাই আমি তাকে একটি উদ্ধৃতি স্মরণ করিয়ে দেব যেটি তার পরিচিত হতে পারে। লিওপোল্ড আমেরি নেভিল চেম্বারলেইনকে বলেছিলেন, আপনি কোনো ভাল কাজ করার জন্য এখানে অনেকক্ষণ ধরে বসে আছেন। এবার ঈশ্বরের নামে, বিদায় হন।’
ডেভিসের বক্তব্যের পর আরেক আইনপ্রণেতা জনসনের কাছে জানতে চান তিনি পদত্যাগ করবেন কিনা।
জবাবে জনসন সাফ বলেন, ‘না।’