রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, `পরমাণু যুদ্ধ অগ্রহণযোগ্য। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি মারাত্মকভাবে বদলে গেছে এবং পরমাণু সংঘাত এখন বাস্তব এবং মারাত্মক ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
রাশিয়ার চ্যানেল ওয়ান টিভির ‘গ্রেট গেইম’ অনুষ্ঠানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন ল্যাভরভ।
ল্যাভরভ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে পরমাণু যুদ্ধ হওয়া উচিত নয় এবং এই ধরনের যুদ্ধ কখনো হবে না বলে ১৯৮৭ সালে দুই দেশের নেতারা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সে ব্যাপারে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রভাবিত করতে সক্ষম হয়েছিল রাশিয়া। রাশিয়ার নীতিগত অবস্থান পরমাণু যুদ্ধের বিরুদ্ধে তবে বর্তমান সময়ে পরমাণু যুদ্ধের ঝুঁকি খুবই উল্লেখযোগ্য। আমি এ ব্যাপারে কোনো রাখঢাক করতে চাই না। অনেকেই আছেন যারা পরমাণু-যুদ্ধ চান। এই বিপদ খুবই মারাত্মক এবং বাস্তব। এই ঝুঁকিকে ছোট করে দেখার কোনো সুযোগ নেই।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশংসা করে ল্যাভরভ বলেন, তিনি ক্ষমতায় আসার পর ‘নিউ স্টার্ট ট্রিটি’ নিঃশর্তভাবে আরো পাঁচ বছরের জন্য বাড়ানোর ব্যাপারে রাজি হয়েছিলেন। কিন্তু আমেরিকা এবিএম, আইএনএফ এবং ওপেন স্কাই ট্রিটি থেকে নিজেকে গুটিয়ে রেখেছে।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সোভিয়েত আমলে ওয়াশিংটন এবং মস্কোর মধ্যে কমিউনিকেশন চ্যানেল ছিল। দুই দেশের নেতারাই তার ওপর আস্থা রাখতো কিন্তু বর্তমানে এ ধরনের কোনো চ্যানেল নেই। কেউ এটি প্রতিষ্ঠার চেষ্টাও করছে না। প্রাথমিকভাবে খুবই দুর্বল কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কিন্তু তার ভালো ফলাফল আসে নি।
ল্যাভরভ বলেন, সবাই বলছেন তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়া উচিত হবে না। অথচ তারা সবাই ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ করে চলমান সংঘাতকে দীর্ঘায়িত করার চেষ্টা করছেন। তারা রাশিয়াকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করতে চান।