ভারতের অনেক জায়গায় এখনও কয়লা দিয়ে কাপড় ইস্ত্রি করা হয়। চারকোল ব্যবহার করে ইস্ত্রি উত্তপ্ত করায় বায়ুদূষনের মাত্রা স্বাভাবিকভাবেই বাড়ে। তামিলনাড়ুর ১৪ বছরের কিশোরী বিনিশা উমাশঙ্কর এ দূষণ বন্ধে নতুন একটি পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন। পৃথিবীর জলবায়ু রক্ষায় এই অবদানের জন্য চলতি বছর আর্থশট পুরস্কারের জন্য মনোয়ন পেয়েছেন তিনি।
আর্থশট পুরস্কার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিনিশার উদ্ভাবিত সৌরশক্তি চালিত ভ্রাম্যমাণ লন্ড্রি নোংরা কয়লার ব্যবহার বন্ধ করবে। সৌরশক্তি থেকে পাঁচ ঘণ্টা চার্জ নিয়ে তার উদ্ভাবিত ব্যবস্থায় ছয় ঘণ্টা কাপড় ইস্ত্রি করা সম্ভব। এছাড়া লন্ড্রিটি ভ্রাম্যমাণ হওয়ায় সেবাদাতা বাড়ি গিয়ে সেবা দিতে পারবে কিংবা রাস্তার পাশে তার গাড়ি থামিয়ে কাপড় ইস্ত্রি করতে পারবে। এই গাড়িটিতে ফোন টপআপ ও চার্জিং পয়েন্ট থাকায় এর মাধ্যমে অতিরিক্ত আয় করাও সম্ভব। সর্বোপরি বিনিশার এই ভ্রাম্যমাণ লন্ড্রির মাধ্যমে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ১৫টির মধ্যে ১৩টি অর্জন সম্ভব।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ডিইন্ডিয়া জানিয়েছে, বাবা-মায়ের কাছ থেকে উৎসাহ পেয়ে পরিবেশবান্ধব ইস্ত্রি উদ্ভাবনে কাজ শুরু করেন বিনিশা। ২০১৮ সালে তিনি সৌরশক্তি চালিত ভ্রাম্যমাণ লন্ড্রির ডিজাইন শেষ করেন। পরের বছর আহমেদাবাদের ন্যাশনাল ইনোভেশন ফাউন্ডেশনের এক দল প্রকৌশলীর সহযোগিতায় বিনিশার ডিজাইন করা লন্ড্রি বাস্তব রূপ পায়।
বিনিশার এই পরিকল্পনার জন্য ইতোমধ্যে চিলড্রেনস ক্লাইমেট পদক এবং ভারতের ড. এপিজে আব্দুল কালাম ইগনাইট পদক জিতেছেন।