ঢাকা বোট ক্লাবের নির্বাহী সদস্য নাসির উদ্দিন মাহমুদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ তুলেছেন ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা পরীমনি। তবে, অভিযোগ অস্বীকার করে নাসির বলেছেন, পরীমনি ও তার বন্ধু ক্লাবের কাউন্টার থেকে জোর করে মদের বোতল নেওয়ার চেষ্টা করায় তাদের নিরাপত্তা প্রহরীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
সোমবার (১৪ জুন) পরীমনির দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তারের পর পুলিশ ভ্যানে ওঠার আগে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
নিজেকে নির্দোষ দাবি করে নাসির উদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘আমি বুধবার (৯ জুন) রাতে যখন ক্লাব থেকে বের হই, তখন পরীমনি ও তার বন্ধু ক্লাবে ঢোকে। তারা মাতাল অবস্থায় ছিলেন। তাদের মধ্যে একটি ছেলে ছিল উচ্ছৃঙ্খল। ক্লাবে ঢোকার পর বারের কাউন্টার থেকে বড় ও দামি মদের বোতল জোর করে নেওয়ার চেষ্টা করেন। তখন আমি তাদের কাছে গিয়ে বলি, আমাদের ড্রিংসগুলো আপনারা নিতে পারেন না। এটা শুধু ক্লাবের সদস্যদের জন্য সংরক্ষিত। মদ নিতে হলে কোনো সদস্যের অ্যাকাউন্টের বিপরীতে নিতে হবে। এরপর ক্লাবের নিরাপত্তা প্রহরীদের ডাক দেওয়া হয়। নিরাপত্তা প্রহরী এসে তাদের সেখান থেকে নিয়ে যায়।’
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার হারুন-অর-রশিদ বলেছেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার দুপুরে উত্তরার ১ নম্বর সেক্টরের ১২ নম্বর রোডের একটি বাসা থেকে আত্মগোপনে থাকা নাসির উদ্দিন মাহমুদকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার সঙ্গে আরো চারজন ছিল। বাসাটি অমি নামে একজন ভাড়া করেছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছি।’
উল্লেখ্য, গত রোববার (১৩ জুন) রাতে পরীমনি তার ফেসবুক পেজে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার বিচার চেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর খোলা চিঠি লেখেন।
ওই রাতেই তিনি রাজধানীর বনানীর বাসায় সংবাদ সম্মেলনে ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন। সোমবার সকালে পরীমনি বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় নাসিরসহ ছয়জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পরপরই মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার (১৫ জুন) তাদের আদালতে তুলে রিমান্ড চাওয়া হবে।
উত্তরা ক্লাবের সাবেক সভাপতি নাসির উদ্দিন মাহমুদ আবাসন ব্যবসায়ী ও ঠিকাদার। তিনি একটি বড় রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী নেতা।