করোনাভাইরাস মহামারির প্রকোপের কারণে বন্ধ রাখা আন্তর্জাতিক সীমান্ত প্রায় দুই বছর পর খুলে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
স্থানীয় সময় সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সীমান্ত খুলে দেয় দেশটি। তবে এই মুহূর্তে সেখানে কেবল কোভিড টিকা নেওয়া পর্যটকরাই প্রবেশ করতে পারবেন।
এদিকে দীর্ঘদিন পর সীমান্ত খুলে দেওয়ায় দেশটিতে প্রবেশ করে নিজেদের আত্মীয়-স্বজনের দেখা করতে পেরে খুশি বন্ধু ও পরিবারের লোকজন।
করোনা মহামারি দেখা দেওয়ার পর ২০২০ সালের মার্চ মাসে বিদেশি পর্যটকদের জন্য নিজেদের সীমান্ত বন্ধ করে দেয় অস্ট্রেলিয়া। তবে বিভিন্ন দেশে আটকা পড়া নাগরিকদের গত বছরের শেষের দিকে ফিরে আসার অনুমতি দেয় দেশটির সরকার।
সোমবার সীমান্ত খোলার দিন সিডনি বিমানবন্দরে ছিল পর্যটকদের ভিড়। এদিন এ বিমানবন্দরে ৫০টি আন্তর্জাতিক বিমান অবতরণ করেছে। পর্যটকরা পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া ব্যতিত দেশটির সব স্থানে যাওয়ার অনুমতি পাচ্ছেন। ওই অঞ্চলটিতে আগামী ৩ মার্চ পর্যন্ত করোনা বিধি নিষেধ জারি থাকবে।
অস্ট্রেলিয়ার পর্যটন বিষয়ক মন্ত্রী বলেন ড্যান তেহান বলেন, সীমান্ত খুলে দেওয়া ‘আমাদের পর্যটন শিল্প এবং এই খাতে কর্মরত ৬ লাখ ৬০ হাজার মানুষের জন্য অবশ্যই একটি চমৎকার খবর। ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কারণে ক্ষতিগ্রস্থ আমাদের পর্যটন খাত খুব তাড়াতাড়ি ঘুরে দাঁড়াবে বলে আমি আশা করছি।’
অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতির জন্য পর্যটন একটি অনেক বড় খাত। ছয় হাজার কোটির বেশি মার্কিন ডলারের এ খাতের ওপর অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতি অনেকটা নির্ভরশীল। দেশটির মোট কর্মশক্তির প্রায় পাঁচ শতাংশ পর্যটন খাতের সঙ্গে যুক্ত। ২০১৯ সালে ৯৫ লাখ মানুষ অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণ করেন।
করোনা মহামারি দেখা দেওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ায় ৪ হাজার ৯০০ জন মারা গেছেন।