মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) শুক্রবার পৃথকভাবে পাকিস্তানের নির্বাচনী প্রক্রিয়া সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা দেশটিতে ৮ ফেব্রুয়ারি হয়ে যাওয়া নির্বাচনের অনিয়মের তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।
নির্বাচন শেষ হওয়ার পর ৪৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন এখনও পূর্ণাঙ্গ ফল প্রকাশ করেনি। তবে বেসরকারিভাবে এবং বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা গেছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরানের খানের দল পিটিআইয়ের সমর্থিত প্রার্থীরা ১০০ আসনে জয় পেয়েছে। অপরদিকে আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল পিএমএল পেয়েছে ৭৩ আসন। তবে দুই দলই পৃথকভাবে নিজেদের বিজয় ঘোষণা করেছে। অবশ্য দেশটিতে সরকার গঠনের জন্য একটি রাজনৈতিক দলের জাতীয় পরিষদে ১৩৩টি আসন প্রয়োজন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইইউ নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ করেছে। এসব অভিযোগের মধ্যে রাজনৈতিক কর্মীদের গ্রেপ্তার এবং ভোট জালিয়াতির বিষয়গুলো রয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘কিছু রাজনৈতিক নেতার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার অক্ষমতা’ এবং সমাবেশের স্বাধীনতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও ইন্টারনেট পরিষেবার সীমাবদ্ধতার কারণে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের অভাব চিল, যা নতুন স্থান উন্মোচন করেছে।’
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, গণমাধ্যম কর্মীদের উপর সহিংসতা ও হামলা মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং সমাবেশের উপর ‘অযাচিত বিধিনিষেধ, নতুন ট্যাব খুলেছে।’