বিশ্বব্যাপী পানির অতিরিক্ত ব্যবহার এবং ভবিষ্যতে পানির সঙ্কট নিয়ে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঘাটতির ‘ঝুঁকি আসন্ন’ বলেও সংস্থাটি হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্ব পানির ‘ভৌতিকভাবে অত্যধিক ব্যবহার এবং অতিরিক্ত উন্নয়ন’ এর ‘বিপজ্জনক পথে অন্ধভাবে ভ্রমণ করছে।’
১৯৭৭ সালের পর প্রথমবারের মতো পানি সম্মেলন করতে যাচ্ছে জাতিসংঘ। এর আগেই এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হলো। নিউ ইয়র্কে বুধবার থেকে তিন দিনের এই সম্মেলন শুরু হবে। এতে কয়েক হাজার প্রতিনিধি অংশ নেবেন।
জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টনিও গুতেরেস বলেছেন, পানি, ‘মানবতার জীবনরক্ত’, যা ‘স্বল্পমেয়াদী ব্যবহার, দূষণ এবং অনিয়ন্ত্রিত বৈশ্বিক জলবায়ু সতর্কতার’ মাধ্যমে নিস্কাশন করা হচ্ছে।
ইউএন ওয়াটার অ্যান্ড ইউনেস্কোর প্রকাশিত প্রতিবেদনে সতর্ক করে বলা হয়েছে, অতিরিক্ত ব্যবহার এবং দূষণের কারণে ‘দুষ্প্রাপ্যতা স্থানীয় হয়ে উঠছে’, অন্যদিকে যেসব এলাকায় পানির অতিরিক্ত ব্যবহার করা হয়েছে এবং নিস্কাশন করা হয়েছে বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে সেসব অঞ্চলে মৌসুমী পানির ঘাটতি বাড়বে।
প্রতিবেদনের প্রধান লেখক রিচার্ড কনর বলেছেন, বৈশ্বিক জনসংখ্যার প্রায় ১০ শতাংশ ‘বর্তমানে এমন এলাকায় বাস করে যেখানে উচ্চ বা গুরুতর মাত্রায় পানির সঙ্কট রয়েছে।’
তিনি বিবিসিকে বলেন, ‘আমাদের প্রতিবেদনে আমরা বলেছি যে, ৩৫০ কোটি মানুষ বছরে অন্তত এক মাস পানির সঙ্কটে থাকে।’