পাকিস্তানে রোববার কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ঘটে যাওয়া রাজনৈতিক উত্থান-পতন পরিস্থিতির সঙ্গে সেনাবাহিনীর কোনো সম্পর্ক নেই। সেনাবাহিনীর আন্ত জনসংযোগ দপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল বাবর ইফতিখার রোববার জিও নিউজকে এ কথা বলেছেন।
গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে পার্লামেন্টে অনাস্থা প্রস্তাব আনার উদ্যোগ নেয় বিরোধীরা। রোববার অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করা হলে ডেপুটি স্পিকার কাশেম সুরি তা খারিজ করে দেন। এর পরেই প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পরামর্শে পার্লামেন্ট ভেঙে দেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভী।
২০১৮ সালে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় ক্ষমতায় আসেন ইমরান খান। সম্প্রতি বিভিন্ন ইস্যুতে সেনাবাহিনীর সঙ্গে তার দূরত্ব বাড়তে শুরু করে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর ইমরান খান মস্কো সফর করেছেন। এর মাধ্যমে তিনি স্পষ্টভাবেই রাশিয়ার পক্ষে রয়েছেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন। অথচ
শনিবার সামরিক বাহিনীর প্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, রাশিয়ার বৈধ নিরাপত্তা উদ্বেগ থাকলেও এই সংঘাত নিয়ে পাকিস্তান মারাত্মকভাবে দুঃশ্চিন্তাগ্রস্ত। ছোট একটি দেশের বিরুদ্ধে রাশিয়ার অভিযান ক্ষমা করা যায় না। ইমরান খান ও প্রভাবশালী সেনাবাহিনীর মধ্যকার সম্পর্ক যে তিক্ততার পর্যায়ে চলে গেছে শনিবার জেনারেল বাজওয়ার মন্তব্যেই স্পষ্ট হয়ে গেছে।
রোববারের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে মেজর জেনারেল বাবর ইফতিখার জানান, এর সঙ্গে সেনাবাহিনীর কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা নেই।