রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে শুক্রবার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) । এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির মানে কি শিগগিরই তাকে গ্রেপ্তার করে হেগের আদালতে হাজির করা হবে? এর উত্তর সম্ভবত না। তবে গ্রেপ্তার করা না গেলেও রাশিয়ার বাইরে বিশ্বের অধিকাংশ দেশে পুতিনের যাতায়াত সীমিত হয়ে যাবে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স তাদের বিশ্লেষণে জানিয়েছে, আইসিসির ১২৩ সদস্য রাষ্ট্র তাদের অঞ্চলে পা রাখলে পুতিনকে আটক ও স্থানান্তর করতে বাধ্য। রাশিয়া আইসিসির সদস্য নয়। এছাড়া শক্তিধর চীন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা ভারতও এই আদালতের সদস্য নয়। সেই হিসেবে চলতি বছরের শেষের দিকে ভারতে হতে যাওয়া জি -২০ গ্রুপের নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনে পুতিন হাজির থাকলেও তাকে আটক করা যাচ্ছে না।
বিশ্বের স্থায়ী যুদ্ধাপরাধ আদালতটি রোম সংবিধিতে তৈরি করা হয়েছিল। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সব কয়টি দেশের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, ব্রিটেন, কানাডা, জাপান, মেক্সিকো, সুইজারল্যান্ড, আফ্রিকার ৩৩টি দেশ এবং দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের ১৯টি দেশ এই আদালতের সদস্য। রাশিয়া ২০০০ সালে রোম সংবিধিতে স্বাক্ষর করেছিল। ইউক্রেনের ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে রাশিয়া দখলের পর একে সশস্ত্র সংঘাত হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করেছিল আইসিসি। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৬ সালে রাশিয়া আইসিসির সদস্যপদ প্রত্যাখ্যান করে।
উট্রেচট বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের সহকারী অধ্যাপক আইভা ভুকুসিক বলেন, ‘পুতিন বোকা নন। তিনি এমন কোনো দেশে ভ্রমণ করতে যাচ্ছেন না যেখানে তাকে গ্রেপ্তার করা যেতে পারে।’