স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, নিহত পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা করেছে ছাত্রদলনেতা। এটার ফুটেজ আমাদের কাছে আছে। পুলিশ অনেক ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছে।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) চিকিৎসাধীন পুলিশ সদস্যদের দেখতে এসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আগে থেকেই ঘোষণা দিয়েছিল আজ তারা ১০ লাখ লোক সমাবেশে আনবে। প্রধান বিচারপতির বাসভবন পর্যন্ত সমাবেশ ছড়িয়ে গেছে। ঘটনার সূত্রপাত সেখানে, আওয়ামী লীগের একটি মিছিল যাচ্ছিল, সেই মিছিলে বিএনপি অ্যাটাক করে। শুধু অ্যাটাক করেই ক্ষান্ত হয়নি, তারা দুটি পিকআপে আগুন দেয়। এরপর প্রধান বিচারপতির বাসভবনে তারা ঢুকে পড়ে। এসময় পুলিশ নিষ্ক্রিয় থাকতে পারে না। পুলিশ আইন অনুযায়ী তার কাজ করেছে। তাদের সরিয়ে দেয়। ক্ষণে ক্ষণে বিএনপি ঢিল মারছিল এবং আগুন ধরিয়ে দেয়। তারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। সমাবেশে তারা লাঠি এনেছিল। ডিপ্লোমা ইন্সটিটিউটে তিনটি গাড়ি পুড়িয়ে দেয় তারা। পুলিশ অনেক ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছে। এরপর রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে বিএনপির নেতাকর্মীরা আগুন লাগিয়ে দেয়। তারা অ্যাম্বুলেন্স ও পুলিশের ছোট-বড় স্থাপনায় আগুন দেয়।
মন্ত্রী আরও বলেন, সবাই দেখেছেন- একজন পুলিশ সদস্যকে কীভাবে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ সদস্য পড়ে যাওয়ার পরও একজন ছাত্রদলনেতা তাকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে তার মাথা ক্ষত-বিক্ষত করে দিয়েছে। বিএনপি বৃষ্টির মতো ইট-পাটকেল ছুড়েছে।