হাসপাতালে ভর্তি ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি পেলের অবস্থা সংকটাপন্ন। কোমোথেরাপিতেও সাড়া দিচ্ছেন না তিনি। তাই তাকে প্যালিয়েটিভ কেয়ার ইউনিটে রাখা হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, একজন রোগীকে তখনই প্যালিয়েটিভ কেয়ারে নেওয়া হয় যখন যখন তার রোগ নিরাময় অযোগ্য কিন্তু তার চিকিৎসা করা হবে। সেই সময়ে মূলত তাকে শারীরিক ও মানসিক, আত্মিক ও সামাজিকভাবে সাপোর্ট দেয়া হয়।
মরণব্যাধী ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করা ৮২ বছর বয়সী পেলেকে গেল সপ্তাহে আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুদিন আগে তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হয়েছিল। তাঁর অন্ত্রের ক্যান্সার এখন আর চিকিৎসা করে সারানো সম্ভব নয়। কেমোথেরাপিতেও সাড়া দিচ্ছে না।
গেল মঙ্গলবার তাকে হাসপাতালে ভর্তি করার পর চিকিৎসা নেন। এরপর ইনস্টাগ্রামে এক বার্তায় জানান, তিনি ভালো আছেন। সে সময় কাতারের একটি ভবনে পেলের সুস্থতা কামনা করে বড় করে লেখা হয় ‘দ্রুত সেরে উঠুন।’
শনিবার ব্রাজিলিয়ান সংবাদমাধ্যম ফোলহা ডি সাও পাওলো এক প্রতিবেদনে জানায়, পেলে কেমোথেরাপিতে আর সাড়া দিচ্ছেন না। যে থেরাপি নেওয়ার মাধ্যমে এতোদিন তিনি ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করছিলেন।
থেরাপিতে কাজ না হওয়ায় তাকে প্যালিয়েটিভ কেয়ারে নেওয়া হয়েছে। সেখানে সেবিকার পাশাপাশি তাঁর সঙ্গে আছেন স্ত্রী মার্সিয়া আয়োকি।
১৯৫৮ বিশ্বকাপে ১৭ বছর বয়সে পেলে বিশ্বমঞ্চে নিজের আবির্ভাবের জানান দেন। এরপর বিশ্বের একমাত্র ফুটবলার হিসেবে টানা তিন বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেন।
ইনজুরির কারণে ১৯৬২ ও ১৯৬৬ বিশ্বকাপে খুব বেশি অবদান রাখতে না পারলেও ১৯৭০ বিশ্বকাপে দারুণ অবদান রাখেন। ব্রাজিলের হয়ে ৯২ ম্যাচ খেলে সর্বোচ্চ ৭৭ গোল করেন তিনি। হয়ে যান ব্রাজিলের ফুটবল ইতিহাসের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা।
পেলে তাঁর ক্যারিয়ারে ১৯৫৭ সাল থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত ৮৩১ ম্যাচ খেলে গোল করেন ৭৫৭টি। যদিও ক্লাব সান্তোস দাবি করে যে তাঁর গোল সংখ্যা ১ হাজারের কাছাকাছি ছিল।