চীনের নতুন মানচিত্রের বিরুদ্ধে সর্বশেষ প্রতিবাদ জানিয়েছে প্রতিবেশী দেশ ফিলিপাইন। বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর বিবৃতি দেওয়ার দলে মালয়েশিয়া ও ভারতের সঙ্গে যোগ দিয়েছে ফিলিপাইন।
চীন সোমবার তার জাতীয় মানচিত্রের একটি নতুন সংস্করণ প্রকাশ করেছে। ২০০৬ সাল থেকে দেশটি নিয়মিত এটি করে আসছে। এবারের মানচিত্র আঞ্চলিক সীমানাকে ‘ভুলভাবে’ উপস্থাপন করেছে বেইজিং।
মঙ্গলবার চীনের এই নতুন মানচিত্রের বিপক্ষে প্রথম কড়া প্রতিবাদ জানায় ভারত। এই মানচিত্র বিতর্কিত আকসাই চীন ও ভারতের অরুণাচলকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেছেন, ‘তাদের দাবি আমরা নাকচ করছি। এর কোনও ভিত্তি নেই। চীনের এ ধরনের পদক্ষেপ কেবল সীমান্ত সংক্রান্ত প্রশ্নকে আরও জটিল করবে।’
চীনের নতুন মানচিত্রে দক্ষিণ চীন সাগরের বিতর্কিত সীমানাও অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চীনের ‘একতরফা দাবি” প্রত্যাখ্যান করেছে।
দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘মালয়েশিয়ার সামুদ্রিক বৈশিষ্ট্যের উপর সার্বভৌমত্ব, সার্বভৌম অধিকার এবং এখতিয়ারের বিষয়ে কোনো বিদেশি পক্ষের দাবি প্রত্যাখ্যান করার অবস্থান সঙ্গতিপূর্ণ।’
বৃহস্পতিবার প্রতিবাদকারী দেশগুলোর তালিকায় যুক্ত হয়েছে ফিলিপাইন। ম্যানিলার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দক্ষিণ চীন সাগরের বিরোধপূর্ণ এলাকার চারপাশে একটি ড্যাশ লাইন অন্তর্ভুক্ত করার কারণে মানচিত্রটিকে ‘প্রত্যাখ্যান করা হচ্ছে’ যা ম্যানিলার পক্ষে ২০১৬ সালে একটি আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের রায়ের অধীন ছিল। মানচিত্রটি ‘ফিলিপাইনের বৈশিষ্ট্য এবং সামুদ্রিক অঞ্চলের উপর চীনের সার্বভৌমত্ব ও এখতিয়ারকে বৈধ করার সর্বশেষ প্রয়াস (এবং) আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে এর কোনো ভিত্তি নেই।’
অবশ্য চীন এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।
নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেছেন, সংশোধনগুলো ‘আইন অনুসারে সার্বভৌমত্বের নিয়মিত অনুশীলন। আমরা আশা করি প্রাসঙ্গিক পক্ষগুলো নিরপেক্ষ ও শান্ত থাকতে পারে এবং সমস্যাটির অতিরিক্ত ব্যাখ্যা করা থেকে বিরত থাকতে পারে।’