বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক প্রাথমিক শিক্ষার্থী প্রিসিলা সিতিয়েনি কেনিয়ায় মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিলো ৯৯ বছর। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে এ কথা জানানো হয়।
৯০-এরও বেশি বছর বয়সে তার শিক্ষা অর্জনের সংকল্পে অনুপ্রাণিত হয়ে একটি ফরাসি চলচ্চিত্র নির্মিত হয় এবং ইউনেস্কোর প্রশংসা অর্জন করে।
এ বিষয়ে তার নাতি স্যামি চেপসিরর বলেন, গোগো প্রিসিলা বুকের ব্যথাজনিত জটিলতায় নিজ বাড়িতে মারা যান।
চেপসিরর বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) গণমাধ্যমকে বলেন, গোগো সুস্থ ছিলেন এবং মৃত্যুর তিন দিন আগ পর্যন্ত ক্লাস করেছেন। এরপর বুকের ব্যথার কারণে তিনি আর স্কুল করতে পারেননি।
তিনি আরও বলেন, আমরা তার শতায়ু জীবনের জন্য কৃতজ্ঞ। তিনি আমাদের সবাইকে গর্বিত করেছেন।
ইউনেস্কোর মতে, তিনি ৯৪ বছর বয়সে কেনিয়ার রিফ্ট ভ্যালিতে গ্রামের স্থানীয় স্কুলের প্রধান শিক্ষককে রাজি করিয়ে স্কুলে ভর্তি হন। এই বয়সে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির কারণে তিনি তার সম্প্রদায় ও এর বাইরে রোল মডেল হিসেবে প্রশংসা কুড়ান।
গত বছর জাতিসংঘের সংস্থার সাথে একটি সাক্ষাৎকারে প্রিসিলা সিতিয়েনি বলেন, তার উদ্দেশ্য ছিল কেনিয়ার অল্পবয়সী মায়েদের সন্তান হওয়ার পরে লোকলজ্জা বা সামাজিক কলঙ্কের ভয়ে স্কুল ছেড়ে দেওয়ার পরিবর্তে স্কুলে ফিরে যেতে উদ্বুদ্ধ করা।