সোমবার (৩১ মে) রাতে বাংলাদেশে পৌঁছাবে যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ কোম্পানি ফাইজারের ১ লাখ ৬২০ ডোজ করোনার টিকা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির সদস্যসচিব ডা. শামসুল হক গতকাল গণমাধ্যমকে জানান, সোমবার রাত ১১টা ২০ মিনিটে ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা দেশে আসবে। টিকা বিতরণের আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফরম কোভ্যাক্স থেকে এই টিকা পাচ্ছে বাংলাদেশ। কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে এসব টিকা ঢাকায় আসছে।
ফাইজারের এই টিকা গতকাল রোববারই দেশে পৌঁছানোর কথা ছিলো। কিন্তু ফ্লাইট সিডিউল না পাওয়ায় টিকা আসতে দেরি হচ্ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ফাইজারের টিকা আসার পর বিতরণ সংক্রান্ত কমিটি ঠিক করবেন কখন কাকে এই টিকা দেওয়া হবে।
গত বছরের ২ ডিসেম্বর বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে যুক্তরাজ্য ফাইজারের টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমতি দেয়। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে এখন এই টিকা প্রয়োগ করা হচ্ছে। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এই টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয়।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড বা সিনোফার্মের টিকার মতোই ফাইজারের টিকাও দুই ডোজ করে নিতে হবে। প্রথম ডোজ দেওয়ার তিন থেকে চার সপ্তাহ পর দিতে হবে দ্বিতীয় ডোজ। ১২ বছর বা তার বেশি বয়সিদের ওপর ফাইজারের টিকা প্রয়োগ করা যাবে। এই টিকা ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধেও কার্যকর বলে জানানো হয়েছে। ফাইজারের টিকা সংরক্ষণ ও সরবরাহের কাজটি কোভিশিল্ডের মতো সহজ নয়। কোভিশিল্ড যেখানে সাধারণ রেফ্রিজারেটরে ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা সম্ভব, সেখানে ফাইজারের টিকা মাইনাস ৯০ ডিগ্রি থেকে মাইনাস ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সংরক্ষণ করতে হবে। যদিও ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর জানিয়েছে, এই টিকা ২ ডিগ্রি থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় পাঁচ দিন রাখা যাবে। আর রেফ্রিজারেটরের বাইরে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এ টিকা দুই ঘণ্টা ভালো থাকবে।