ক্রিকেটারদের জন্য ইনজুরি নিত্যদিনের সঙ্গী। অনুশীলন হতে শুরু করে ম্যাচ, যে কোনো সময় ইনজুরিতে আক্রান্ত হওয়াটা স্বাভাবিক। সেক্ষেত্রে পেসারদের জন্য ইনজুরি প্রবণতা আরও বেশি। ক্যারিয়ারের শুরুতেই এই বিষয়টি দেখে ফেলেছেন বাংলাদেশের পেসার হাসান মাহমুদ। এই ভালো, তো এই খারাপ।
প্রায় দেড় বছর পর ইনজুরি কাটিয়ে দলে ফিরে সামনে দেখছিলেন সুদিন। ছিলেন এশিয়া কাপের স্কোয়াডে। কিন্তু অনুশীলনের প্রথম দিনেই গোড়ালির চোটে শেষ হয়ে যায় হাসানের এশিয়া কাপ। ইনজুরি কাটিয়ে আবার জায়গা করে নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়া হতে যাওয়া বিশ্বকাপ দলে।
বারবার ইনজুরিতে পড়া নিয়ে এক প্রশ্নে শনিবার দুপুরে সাংবাদিকদের হাসান বলেন, ‘ফাস্ট বোলারদের জন্য ইনজুরি হলো বন্ধুর মতো, এসে আবার চলে যায় (হাসি)। জিনিসটা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু ইনজুরি এড়াতে অবশ্যই কাজের মধ্যে থাকতে হবে। ফিটনেস বলেন কিংবা বোলিং ওয়ার্ক, সব কিছতেই ধারাবাহিকতা রাখতে হবে। নিয়মিত আপনি যখন কাজের মধ্যে থাকবেন তখন এ ইনজুরি হয়তো হবে না।’
বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ আরও দুটি সিরিজ খেলবে। আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুটি টি-টোয়েন্টির সিরিজের পর নিউ জিল্যান্ডের মাটিতে খেলবে ত্রিদেশীয় ম্যাচ। এছাড়া অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের লড়াই শুরুর আগে আছে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচও। এসব ম্যাচের মধ্যেও ইনজুরির ঝুঁকি রয়েছে।
তাই তো হাসানকে পেয়ে সাংবাদিকদের করা অধিকাংশ প্রশ্ন ছিল ইনজুরিকেন্দ্রিক। গত মাসে চোটের পর এখনও তিনি বল হাতে নেননি। জিম-ওয়ার্ক আউট করেই কাটছে সময়। একদিন বাদে বোলিংয়ে ফেরার কথা রয়েছে তার।
এখন পর্যন্ত তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন হাসান, সেগুলোতে নিয়েছেন ৩ উইকেট। ২০২১ সালের মার্চে ইনজুরিতে পড়ার পর দীর্ঘদিন ছিলেন মাঠের বাইরে। সবশেষ জিম্বাবুয়ে সিরিজ দিয়ে ফেরেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। একই কারণে এশিয়া কাপ খেলতে না পারলেও এবার সামনে আছে বিশ্বকাপ। হাসান ফিট থাকতে পারবেন তো?