ফুটবলে হলুদ কার্ড ও লাল কার্ডের ইতিহাস অনেক পুরনো। তবে সময়ের প্রয়োজনে এবং খেলাটির নৈতিক মূল্যবোধ বাড়াতে শুরু হয়েছে ‘হোয়াইট’ কার্ড তথা ‘সাদা’ কার্ডের ব্যবহার। এটাকে ‘ফেয়ার প্লে কার্ডও’ বলা হচ্ছে।
গেল রোববার (২১ জানুয়ারি, ২০২৩) প্রথমবারের মতো পর্তুগালে ব্যবহৃত হয় এই সাদা কার্ড। নারী সুপার কাপের ম্যাচে সেদিন মুখোমুখি হয়েছিল বেনফিকা ও স্পোর্টিং লিসবন। এই ম্যাচের প্রথমার্ধের বিরতির আগে রেফারি ক্যাটারিনা ক্যাম্পোস ফুটবল ইতিহাসে প্রথমবার ‘হোয়াইট কার্ড’ ব্যবহার করেন।
এ সময় স্ট্যান্ডে একজন সমর্থক অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য উভয় দলের মেডিক্যাল স্টাফরা স্ট্যান্ডে ছুটে যান এবং চিকিৎসা দেন। মূলত তাদের টিম স্পিরিটের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা জানাতেই রেফারি সাদা কার্ডটি দেখান।
রেফারির সাদা কার্ড দেখানোর বিষয়টি দর্শকরা খুব ভালোভাবে নেন। অনেকে বিষয়টি দেখে বেশ উচ্ছ্বসিত হন। করতালির মাধ্যমে রেফারিকে ধন্যবাদ জানান।
জানা গেছে, পর্তুগীজ ফুটবল ফেডারেশন সাদা কার্ড ব্যবহার সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য শিগগিরই তুলে ধরবে। এদিকে ফুটবল বিশ্ব থেকেও প্রশংসিত হচ্ছে বিষয়টি। তারা সাদা কার্ডের ব্যবহার বাড়ানোর পক্ষে মত দিচ্ছেন।
কেউ কেউ পরামর্শ দিচ্ছেন সময় নষ্ট করার প্রচেষ্টা, ইনজুরি আক্রান্ত হলে চিকিৎসা, লম্বা সময় ধরে গোল উদযাপন, খেলোয়াড় বদল ও ভিআরএ-এর ক্ষেত্রে হোয়াইট কার্ড ব্যবহার করার।
এর আগে অবশ্য ইতালির সিরি’আ বি লিগে গ্রিন কার্ডের ব্যবহার শুরু হয়েছিল। এছাড়া ফিফার ২০১৮ সালে ফিফার অ্যাফিলিয়েশন পায়নি এমন দেশ নিয়ে আয়োজিত কোনিফা বিশ্বকাপেও গ্রিন কার্ড ব্যবহৃত হয়েছিল।
গ্রিন কার্ড তখনই দেখানো হতো যখন একজন খেলোয়াড় হলুদ কার্ড ও লাল কার্ডের মাঝামাঝি ধরনের কোনো ফাউল করতেন। খেলোয়াড় গ্রিন কার্ড পাওয়ার সাথে সাথে মাঠ ছাড়তেন। তবে তার দলের যদি বদলি খেলোয়াড় নামানোর সুযোগ থাকতো তাহলে তার বদলি নামাতে পারতো।
ক্রিস্টিয়ান গালানো ছিলেন প্রথম ফুটবলার যিনি সর্বপ্রথম ফুটবলে গ্রিন কার্ড পেয়েছিলেন। আর গেল রোববার রেফারি ক্যাটারিনা দেখান ইতিহাসের প্রথম সাদা কার্ড।