ইউরোপে নতুন করে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়া ‘গভীর উদ্বেগ’ সৃষ্টি করেছে। করোনার প্রকোপ বাড়তে থাকলে আশঙ্কা করা হচ্ছে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যে মহাদেশটিতে আরো ৫ লাখ মানুষের মৃত্যু হতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এ কথা জানিয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় জার্মানিতে প্রায় ৩৪ হাজার মানুষ করোনায় শনাক্ত হওয়ার পর ডব্লিউএইচও তরফ থেকে এ সতর্কবার্তা উচ্চারণ করা হলো।
বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) ডব্লিউএইচও’র ইউরোপীয় প্রধান হ্যান্স ক্লুজ বলেন, ভ্যাকিসিন না নেওয়া করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ার মূল কারণ। ‘আমাদেরকে আবশ্যই করোনার বিরুদ্ধে চলমান লড়াইয়ে কৌশলে পরিবর্তন আনতে হবে। নতুন করে সংক্রমণ শুরুর প্রাথমিক পর্যায় থেকেই তা প্রতিহত করতে হবে।’
সম্প্রতি মাসগুলোতে ইউরোপ মহাদেশে করোনা প্রতিরোধী টিক নেওয়া বা দেওয়ার ক্ষেত্রে যথেষ্ঠ ধীর গতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। স্পেনের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ দুই ডোজ টিকা সম্পন্ন করেছে। তবে ফ্রান্স ও জার্মানিতে এই সংখ্যা যথাক্রমে ৬৮ এবং ৬৬ শতাংশ। এছাড়া পূর্ব ইউরোপ এবং মধ্য ইউরোপের কিছু দেশে এই সংখ্যা আরো কম।
এদিকে বিশ্ব পরাশক্তি রাশিয়া ২০২১ সালের অক্টোবর পর্যন্ত নিজেদের মাত্র ৩২ শতাংশ নাগরিককে টিকার আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছে।
হ্যান্স ক্লুজ অভিযোগ করে বলেন, জনস্বাস্থ্য নিয়ে এক ধরনের শিথিলতা ইউরোপ জুড়ে দেখা যাচ্ছে। এর ফলে ইউরোপ ও মধ্য এশিয়ার ৫৩টি দেশ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এখন পর্যন্ত এই অঞ্চলে ডব্লিউএইচও ১৪ লাখ মানুষের মৃত্যু নথিভুক্ত করেছে।
সংস্থাটির কোভিড-১৯ বিষয়ক প্রধান মারিয়া ভ্যান কেরখোভ বলেন, ‘টিকা এবং সরঞ্জামের প্রচুর সরবরাহ থাকা সত্ত্বেও গত চার সপ্তাহে ইউরোপজুড়ে করোনা সংক্রমণের হার ৫৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।’