সপ্তাহের ব্যবধানে দেশে মার্কিন ডলারের দাম বেড়েছে। সোমবার (২৩ মে) আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলার ৪০ পয়সা বাড়িয়ে ৮৭ টাকা ৯০ পয়সা নির্ধারণ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে আবারো টাকার মান কমেছে ৪০ পয়সা। আর এক মাসের ব্যবধানে টাকার মান কমলো ১ টাকা ৭০ পয়সা। গত ২৬ এপ্রিল প্রতি ডলার ৮৬ টাকা ২০ পয়সা বেচাকেনা হয়েছিল।
এদিকে, গত ১৬ মে আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলার ৮৭ টাকা ৫০ পয়সা দাম নির্ধারণ করে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সপ্তাহের ব্যবধানে আবারও ডলারের দাম বাড়ানো হয়েছে। ১৫ মে পর্যন্ত প্রতি ডলার ছিল ৮৬ টাকা ৭০ পয়সা।
এদিকে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলারের দর যা নির্ধারণ করে দিয়েছে তার চেয়ে ৫ থেকে ৬ টাকা বেশি দরে ব্যাংকগুলো শেয়ার বেচাকেনা করছে। আর খোলাবাজারে প্রতি ডলার কেনাবেচা হচ্ছে ৯৬ টাকা থেকে ৯৮ টাকায়। যা কয়েকদিন আগে ১০২ টাকা অতিক্রম করেছিল। পরে কিছুটা কমলেও এবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলারের দাম পুনঃনির্ধারণ করেছে।
ব্যাংকারদের সঙ্গে আলাপকালে তারা জানান, আমদানি দায় পরিশোধ করতে হয় ডলারের মাধ্যমে। আগের চেয়ে দেশে আমদানি বাড়ার কারণে দায় পরিশোধের পরিমাণও বেড়ে গেছে। এই আমদানি দায় পরিশোধের চাহিদা বাড়ার কারণে টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বাড়ছে। তবে বাজার স্থিতিশীল রাখতে দেশে কার্যরত ব্যাংকগুলোর নিকট কেন্দ্রীয় ব্যাংক চাহিদার বিপরীতে ডলার বিক্রি করছে। এতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমবে।
ডলারের দাম পর্যালোচনায় দেখা গেছে, চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলার বেচাকেনা হয়েছিল ৮৫ টাকা ৮০ পয়সা। যা ৯ জানুয়ারি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৬ টাকা। গত ২৩ মার্চ তা বেড়ে ৮৬ টাকা ২০ পয়সায় বেচাকেনা হয়। ফের ২৭ এপ্রিল ডলার প্রতি ২৫ পয়সা বেড়ে ৮৬ টাকা ৪৫ পয়সায় বেচাকেনা হয়েছে। গত ১০ মে ডলার প্রতি আরো ২৫ পয়সা বেড়ে ৮৬ টাকা ৭০ পয়সায় বেচাকেনা হয়েছে। ১৬ মে আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলার কেনাবেচা ৮৭ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আর আজ (২৩ মে) ফের ৪০ পয়সা বাড়িয়ে ডলারের দাম ৮৭ টাকা ৯০ পয়সা নির্ধারণ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
নিয়ম অনুযায়ী, একটি ব্যাংক তার মূলধনের ১৫ শতাংশের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা প্রতিষ্ঠানের কাছে রাখতে পারে। এর অতিরিক্ত হলেই ব্যাংকটিকে বাজারে ডলার বিক্রি করতে হয়।