একদিনের ব্যবধানে দেশে মার্কিন ডলারের দাম বেড়েছে। সোমবার (১৬ মে) আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলার কেনাবেচা ৮৭ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আগের দিন প্রতি ডলার ছিল ৮৬ টাকা ৭০ পয়সা। আলোচ্য সময়ে ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমলো ৮০ পয়সা।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডলারের দাম ১ টাকা ৫ পয়সা বেড়েছে। আর মাসের ব্যবধানে তিন বারে ডলারের দাম ১ টাকা ৩০ পয়সা বেড়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এদিকে, কেন্দ্রেীয় ব্যাংক ডলারের দর যা নির্ধারণ করে দিয়েছে তার চেয়ে ৫ থেকে ৬ টাকা বেশি দরে ব্যাংকগুলো শেয়ার কেনাবেচা করছে। আর খোলাবাজারে প্রতি ডলার কেনাবেচা হচ্ছে ৯৬ টাকা থেকে ৯৮ টাকায়। যা কিছুদিন আগেও ছিল ৯০ টাকা থেকে ৯১ টাকা। এভাবে বাড়ছে ডলারের দাম।
ব্যাংকারদের সঙ্গে আলাপকালে তারা জানান, আমদানি দায় পরিশোধ করতে হয় ডলারের মাধ্যমে। আগের চেয়ে দেশে আমদানি বাড়ার কারণে দায় পরিশোধের পরিমাণও বেড়ে গেছে। এই আমদানি দায় পরিশোধের চাহিদা বাড়ার কারণে টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বাড়ছে। তবে বাজার স্থিতিশীল রাখতে দেশে কার্যরত ব্যাংকগুলোর নিকট কেন্দ্রীয় ব্যাংক চাহিদার বিপরীতে ডলার বিক্রি করছে। এতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘চাহিদা বাড়ার কারণে ডলারের দাম বাড়ছে। সার্বিক বাজার পরিস্থিতি বিবেচনা করে ফের ডলারের দাম বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।’
ডলারের দাম পর্যালোচনায় দেখা গেছে, চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলার কেনাবেচা হয়েছিল ৮৫ টাকা ৮০ পয়সা। যা ৯ জানুয়ারি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৬ টাকা। গত ২৩ মার্চ তা বেড়ে ৮৬ টাকা ২০ পয়সায় বেচাকেনা হয়। ফের ২৭ এপ্রিল ডলার প্রতি ২৫ পয়সা বেড়ে ৮৬ টাকা ৪৫ পয়সায় বেচাকেনা হয়েছে।
গত ১০ মে ডলার প্রতি আরও ২৫ পয়সা বেড়ে ৮৬ টাকা ৭০ পয়সায় বেচাকেনা হয়েছে। আর আজ (১৬ মে) আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলার কেনাবেচা ৮৭ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তাতে এক সপ্তাহের ব্যবাধনে ডলারের দাম ১ টাকা ৫ পয়সা বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে প্রতি ডলারের দাম বেড়েছে ১ টাকা ৩০ পয়সা।
নিয়ম অনুযায়ী, একটি ব্যাংক তার মূলধনের ১৫ শতাংশের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা প্রতিষ্ঠানের কাছে রাখতে পারে। এর অতিরিক্ত হলেই ব্যাংকটিকে বাজারে ডলার বিক্রি করতে হয়।