ফ্রান্স ও জার্মানিতে প্রথমবারের মতো মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। এর ফলে উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপের অন্যান্য দেশের পর তালিকায় নতুন করে যুক্ত হলো ফ্রান্স ও জার্মানি। শুক্রবার দেশ দুটির কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
ফ্রান্সের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইলি-ডি-ফ্রান্স এলাকার ২৯ বছরের এক তরুণ মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়েছেন বলে শনাক্ত করা হয়েছে। যে কয়টি দেশে এই রোগটি শনাক্ত হয়েছে তিনি সম্প্রতি সেসব দেশ ভ্রমণ করেননি।
জার্মানির সেনাবাহিনীর মাইক্রোবায়োলজি ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, এমন একজন রোগীর মধ্যে ভাইরাসটি শনাক্ত করা হয়েছে যার ত্বকে ক্ষত রয়েছে। এই ক্ষত মাঙ্কিপক্স রোগের একটি উপসর্গ।
ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে শনাক্ত হওয়া এই ভাইরাসটির সংক্রমণ ক্রমশ বাড়ছে। জার্মানির স্বাস্থ্য সংস্থা রবার্ট কোচ ইনস্টিটিউট পশ্চিম আফ্রিকা থেকে ফিরে আসা লোকেদের এবং বিশেষ করে সমকামী পুরুষদের ত্বকে কোনো পরিবর্তন লক্ষ্য করলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করার আহ্বান জানিয়েছে।
মাঙ্কিপক্স বিরল রোগ, তবে এটি মারাত্মক নয়। এতে আক্রান্তদের প্রায়ই জ্বর, পেশীতে ব্যথা, লসিকা গ্রন্থি ফোলা, ঠান্ডা লাগা, ক্লান্তি অনুভব এবং হাত ও মুখে চিকেনপক্সের মতো ফুসকুড়ি দেখা দেয়। সংক্রমিত ব্যক্তির ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শ থেকে এই ভাইরাস ছড়ায়। শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে, ত্বকের ক্ষত থেকে এবং নাক, মুখ ও চোখের ভেতর দিয়ে এই ভাইরাস মানুষের দেহে প্রবেশ করে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, তারা বিষয়টি নিবিঢ়ভাবে দেখছে এবং বিশেষ করে যুক্তরাজ্যে সমকামী সম্প্রদায়ের মধ্যে সংক্রমণের কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে বলে মনে হচ্ছে।