দেশে বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে পূর্বাভাস যন্ত্র বসানো হবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান।
মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানিয়েছেন তিনি। আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান বলেন, ‘আমরা বজ্রপাত পূর্বাভাস যন্ত্র বসাবো। ৪০ মিনিট আগে এ যন্ত্র বজ্রপাত শনাক্ত করতে পারবে এবং কোথায় হবে, তা জানিয়ে দেবে। প্রাথমিকভাবে বজ্রপাতপ্রবণ এলাকা, বিশেষ করে হাওর এলাকায় বসানো হবে এসব যন্ত্র। যাতে মোবাইল ফোনে সতর্কবার্তা যেতে পারে, সেজন্য অ্যাপ তৈরি করা হবে।’
এনামুর রহমান বলেন, ‘বজ্রপাতপ্রবণ এলাকায় আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, যাতে সতর্কবার্তা শোনার ২০ থেকে ২৫ মিনিটের মধ্যে মানুষ সেই আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে পারে। বজ্রপাত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা সেখানে অবস্থান করবেন। বজ্রপাত আশ্রয়কেন্দ্রে কৃষক, মৎস্যজীবীরা সকালের নাস্তা করতে পারবেন, দুপুরে খেতে পারবেন। ঝড়-বৃষ্টি, শিলাবৃষ্টির মধ্যেও আশ্রয় নিতে পারবেন। কেউ চাইলে সেখানে বিশ্রামও নিতে পারবেন।’
তিনি জানান, ৪৭৬ কোটি টাকার এ প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। তাদের প্রতিবেদন পাওয়া গেলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, বজ্রপাতে খোলা মাঠ ও হাওরে বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে। ২০১১ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বজ্রপাতে ২ হাজার ৮০০ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে ২০১১ সালে ১৭৯ জন, ২০১২ সালে ২০১ জন, ২০১৩ সালে ১৮৫ জন, ২০১৪ সালে ১৭০ জন, ২০১৫ সালে ২২৬ জন, ২০১৬ সালে ৩৯১ জন, ২০১৭ সালে ৩০৭ জন, ২০১৮ সালে ৩৫৯ জন, ২০১৯ সালে ১৯৮ জন, ২০২০ সালে ২৫৫ জন এবং ২০২১ সালে এখন পর্যন্ত ৩২৯ জন মারা গেছেন। ২০১৫ সালে বজ্রপাতকে দুর্যোগের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।