মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, ‘জাতির পিতার সুযোগ্য নির্দেশনায় দেশ স্বাধীনের মাত্র ১১ মাসের মধ্যে বাংলাদেশের সংবিধান প্রণীত হয়ে, যা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন। এটি পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ লিখিত সংবিধান। এই সংবিধানে জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতাকে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করা হয়।’
জাতীয় সংবিধান দিবস উপলক্ষে রোববার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
সোমবার (২৮ নভেম্বর) মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আলোচনা সভায় ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের সঙ্গে আছে আমাদের গভীর সম্পর্ক। দেশ স্বাধীনের পর জাতির পিতা পাকিস্তানে বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে লন্ডন হয়ে ভারতে যাত্রা বিরতি করে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরে আসেন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রবাসী বাঙালিরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। যুক্তরাজ্য প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশের উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখছেন।’
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে আমাদের স্বাধীন দেশ, পতাকা ও সংবিধান দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর প্রথম স্বপ্ন ছিল এ দেশের স্বাধীনতা। দ্বিতীয় স্বপ্ন ছিল এ দেশের মানুষের মুক্তি। তাই, স্বাধীনতা অর্জনের পরপরই তিনি অর্থনৈতিক মুক্তি সংগ্রামের ডাক দেন। বঙ্গবন্ধু যখন সবুজ বিপ্লবের কর্মসূচি শুরু করেন, তখনই বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। স্বাধীন বাংলাদেশের উন্নয়ন থমকে যায়। জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছেন।
যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অংশ নেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, প্রবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধা বিশিষ্ট সাংবাদিক উদয় শংকর রায়সহ যুক্তরাজ্য বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, ‘বাঙালি জাতির ইতিহাসে তাৎপর্যপূর্ণ ও স্মরণীয় দিন ৪ নভেম্বর জাতীয় সংবিধান দিবস। ১৯৭২ সালের এই দিনে গণপরিষদে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান গৃহীত হয়। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবিধান প্রণয়নের সুবর্ণজয়ন্তীতে ৪ নভেম্বরকে জাতীয় সংবিধান দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন, যা আমাদের গর্ব।’
প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা লন্ডনস্থ বাংলাদেশের হাইকমিশনে হাইকমিশনে বঙ্গবন্ধু কর্নার ঘুরে দেখেন এবং পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন। এ সময় দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন।