প্রথম বাংলাদেশি আম্পায়ার হিসেবে বিশ্বকাপে দায়িত্ব পালন করছেন শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত। কখনো অনফিল্ডে দায়িত্ব পালন করছেন। কখনো পালন করছেন চতুর্থ আম্পায়ার হিসেবে। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ যেমন আছে ক্রিকেট মাঠে, তেমনি আম্পায়ার হিসেবে আছেন তিনিও।
আজ বুধবার সৈকতের প্রশংসা করে তাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট দেন তামিম ইকবাল খান। সেখানে তিনি সৈকতের বিশ্বকাপে দায়িত্ব পালন করার বিষয়টিকে বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য এটা অনেক বড় ব্যাপার বলে উল্লেখ করেন।
সৈকতকে নিয়ে তামিম লিখেন, ‘এবারের বিশ্বকাপে শুধু বাংলাদেশ দলই নয়, শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত ভাইও আমাদের একজন উজ্জ্বল প্রতিনিধি। দেশের প্রথম আম্পায়ার হিসেবে বিশ্বকাপে ম্যাচ পরিচালনা করছেন তিনি, বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য এটা অনেক বড় ব্যাপার।
বাংলাদেশে আম্পায়ারিং একটি প্রশংসাহীন কাজ। সেই দেশের একজন আম্পায়ার বিশ্বমঞ্চে জায়গা করে নিয়েছেন নিজের যোগ্যতা, নিষ্ঠা ও দীর্ঘদিনের কঠোর অধ্যাবসায় দিয়ে। বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্যও এটি গর্বের ব্যাপার। বেশ কয়েকটি ম্যাচে মাঠের আম্পায়ার হিসেবে ম্যাচ পরিচালনা করছেন তিনি, থাকছেন চতুর্থ আম্পায়ার হিসেবেও।
নানা বাস্তবতার কারণে আমাদের দেশের কোনো আম্পায়ার এখনও পর্যন্ত এলিট প্যানেলে জায়গা করে নিতে পারেননি। তার পরও সৈকত ভাই একটু একটু করে লড়াই করে নিজেকে যে উচ্চতায় নিয়ে গেছেন, অনেক প্রতিকূলতার মধ্যেও যেভাবে আজকের এই অবস্থানে নিয়ে গেছেন, দেশের অনেক আম্পায়ারের জন্য তা নিঃসন্দেহে দারুণ অনু্প্রেরণার। অনেকেই এখন আম্পায়ারিংকে পেশা হিসেবে নেওয়ার কথা আরও বেশি গুরুত্ব দিয়ে ভাবতে পারবে।
অভিনন্দন সৈকত ভাই। আমাদের দেশের ক্রিকেটের মতো দেশের আম্পায়ারিংও এগিয়ে যাক আরও।’
শরফুদ্দৌলা অনেক দিন ধরেই বাংলাদেশের সেরা একজন আম্পায়ার। দেশি আম্পায়ারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৯ টেস্ট, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫২ ওয়ানডে ও সর্বোচ্চ ৪৩ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মাঠে (অন ফিল্ড আম্পায়ার) দায়িত্ব পালন করেছেন সাবেক এই বাঁহাতি স্পিনার।
ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে চতুর্থ আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার ম্যাচে ছিলেন ফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে। আজ বুধবার ভারত-আফগানিস্তানের মধ্যকার ম্যাচেও ছিলেন চতুর্থ আম্পায়ারের দায়িত্বে।