জয়ের জন্য দ্বিতীয় ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রয়োজন ছিল ৩৯৫। ম্যাচটি বাংলাদেশ জিতে নিয়েছে, এমনটাই ধরে নিয়েছিলেন প্রায় সবাই। অবিশ্বাস্যভাবে চট্টগ্রাম টেস্টের ফলটা বাংলাদেশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজরা। শেষদিনে মায়ার্সের অতিমানবীয় ব্যটিংয়ের কাছে হার মেনেছে স্বাগতিকরা। এমনটা হবে ভাবতেই পারেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক। ম্যাচ শেষেও তার চোখেমুখে ঘোর।
অধিনায়কের চোখে দলের ব্যর্থতার কারণ কী? জানতে চাইলে মুমিনুল বলেন, আসলে অবিশ্বাস্য। ক্রিকেট যেহেতু গোল বলের খেলা, অবিশ্বাস্য অনেককিছুই হয়ে যায়। প্রত্যাশা করিনি এমন কিছু হবে। কোন সময়ই আমার মনে হয়নি আমরা হারবো। কারণ ৪দিন আমরা ডমিনেট করেছি। মনেই হয়নি শেষের দিকে এসে আমরা হেরে যাবো। আমার কাছে মনে হয় বোলাররা ভালো জায়গায় বল করতে পারেনি। ওদের ব্যাটসম্যানরা ভালো ব্যাটিং করেছে।
তবে হারের জন্য নির্দিষ্ট কারো কাঁধে দোষ চাপাতে রাজি নন অধিনায়ক। দায়টা পড়ুক পুরো দলের কাঁধেই।
বাংলাদেশের ব্যাটিং-বোলিং উভয় বিভাগের প্রাণ সাকিব আল হাসান। কিন্তু চোটের কারণে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং-বোলিং করতে পারেননি বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠছে সাকিবের অনুপস্থিতিই দলকে ভোগাল কি না। সাকিবের অভাববোধ করার কথা স্বীকার করেছেন টেস্ট অধিনায়ক, ‘সাকিব ভাই থাকলে বোলিং অনেক গোছানো হতো। যেহেতু সিনিয়র বোলার, সিনিয়র ব্যাটসম্যান, সবাইকে আগলে রাখতে পারতেন। তাঁর অভাববোধ করেছি, বিশেষ করে বোলিংয়ে।’
১ম ম্যাচে হেরে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। শেষ ম্যাচের আগে তাই ভুল থেকে শিক্ষা নিতে চায় স্বাগতিকরা।