উম্মে শায়লা রুমকী
সকাল বেলা যোগব্যায়ামের ভালো সময়,তবে চাইলে সন্ধ্যায় করা যেতে পারে।ভর পেটে কোনো রকম ব্যায়াম না করাই ভালো।
♦ তদাসন:প্রথমে দুই পায়ের মাঝখানে দুই সেন্টিমিটার ফাঁকা করে দাঁড়াতে হবে,খেয়াল রাখতে হবে যেনো শরীরের ভর দুই পায়ে সমান ভাবে থাকে। এবার দুই হাতের আঙ্গুল লক করে ধীরে ধীরে মাথার উপর তুলতে হবে।এবার পায়ের আঙ্গুলের উপর দাঁড়িয়ে নিশ্বাস ধরে রাখুন যতক্ষণ সম্ভব।ধীরে ধীরে শ্বাস ছেড়ে দিতে দিতে স্বাভাবিক পজিসনে আসুন।এই প্রক্রিয়াটি পাঁচ থেকে সাত বার করুন।
♦ধানুরাসন:একটি ম্যাটের উপর উপুর হয়ে শুয়ে পড়ুন।এবার হাঁটু ভাঁজ করে পিঠের দিকে নিয়ে আসুন।দুই হাত দিয়ে দুই পায়ের গোড়ালি ধরুন।এবার বুক,মাথাসহ উপরের দিকে উঠুন।এই সময় শ্বাস প্রশ্বাস স্বাভাবিক থাকবে এবং পজিসনটি ২০ সেকেন্ড ধরে রাখতে হবে।এই আসনটি সাতবার রিপিট করুন।
♦পদাঙ্গুষ্ঠাসন:প্রথমে দুই পায়ে সমান ভর দিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়ান।এবার হাত দুটোকে শ্বাস নিতে নিতে মাথার উপর নিয়ে শরীরটাকে টানটান করুন।এবার শরীরটাকে নিচের দিকে টেনে নিয়ে আসুন।হাতের তর্জনি ও মধ্যমা দিয়ে পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলি ধরুন।হাঁটু ভাঁজ করা যাবে না।শ্বাস প্রশ্বাস স্বাভাকিক থাকবে।এভাবে ২০সেকেন্ড থাকার পর গভীর শ্বাস নিতে নিতে আবার সোজা পজিশনে আসতে হবে।ব্যায়ামটি সাতবার রিপিট করুন।
♦বালাসন :এই আসনটি মাতৃগর্ভে শিশু যেভাবে থাকে।প্রথমে হাঁটুমুড়ে বসুন।এবার মাথা ঝুঁকে মেঝেতে রাখুন।দুই হাত সামনের দিকে প্রসারিত থাকবে।
♦ত্রিকোনাসান:প্রথমে দুই পা আড়াই থেকে তিন ফিট ফাঁকা করে দাঁড়ান।এবার ডান হাত দিয়ে ডান পায়ের দিকে মেঝেতে হাতের তালু রাখুনএবং বাম হাতকে উপরের দিকে সোজা করে তুলুন,মাথা বাম হাতের দিকে থাকবে।শ্বাস প্রশ্বাস স্বাভাবিক।এবার বিপরীত দিকে আবার করুন।২০সেকেন্ড পজিশনটি ধরে রাখুন।সাতবার রিপিট করুন।
♦বৃক্ষাসন:প্রথমে সোজা হয়ে দাঁড়ান এবার দুই হাত সোজা করে মাথার উপুরে তুলুন।ধীরে ধীরে ডান পায়ের গোড়ালি বাম পায়ের হাঁটুর কাছে রাখুন।এই অবস্হানে ২০ সেকেন্ড থাকুন।এবার বাম পা দিয়ে করুন।এভাবে সাতবার রিপিট করুন।
যে কোনো ব্যায়াম করার আগে শরীরের কথা শুনতে হবে অর্থাৎ জোর করে কোনো স্ট্রেচ বা টান দেয়া যাবে না। গর্ভকালিন সময়ে ব্যায়াম করার পূর্বে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।