কিছু কিছু স্বপ্ন আছে যা জেগে থাকার দাওয়াই, কিছু কিছু স্বপ্ন প্রেরণা জাগানিয়া, অপেক্ষার উত্তেজনা তাড়া করে বেড়ায়; কখন সত্যি হবে।
৫ আগষ্ট সোমবার ছিলো ছুটির দিন, এক স্বপ্নকে ছুঁয়ে দেখার দিন। ‘টেস্ট অফ বাংলাদেশ’ স্বপ্ন হলো সত্যি যেন তেরোশত নদী নেমে আসে এক মোহনায়। টরন্টোর ভিক্টোরিয়া ড্যানফোর্থ ইন্টারসেকসান থেকে সিবলি এভিনিউ মূল রাস্তা বন্ধ রেখে, হাজার-হাজার মানুষের কলকন্ঠের কলরবে মেতে উঠে কংক্রিটের পথ; বাংলার সবুজ এসে মিশেছিলো ঐ পথে।
সৌভাগ্য হয়েছিলো,এই আয়োজনের প্রধান সমন্বয়কারী ও স্বপ্নদ্রষ্টা রাসেল রহমানের আমন্ত্রণে কয়েকটি সভায় উপস্থিত হওয়ার। অভিনন্দন এই সফল আয়োজনের জন্যে এবং তা সার্থক হয়ে উঠে কমিউনিটির উল্ল্যেখযোগ্য ব্যাবসায়ী, সংগঠক, কর্মবীর মানুষজনের সংযুক্তি করানোর মধ্যদিয়ে।
রাজনীতি, কূটনীতি পেছনে ফেলে, বাংলা, বাঙালি, বাংলাদেশ নিয়ে একসাথে কাজ করার এই নজির, আয়োজনের সাথে সংশ্লিষ্ট সবাই টরন্টোর বাংলাদেশী কমিউনিটির কাছে আদরনীয় হয়ে থাকবেন।
ব্যায়বহুল বিনোদনের ব্যাবস্থা ছিলো, এসেছিলেন রিজিয়া পারভিন, তপন চৌধুরী, নগর বাউল খ্যাত জেমস ছিলো স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনা তবে সব কিছু ছাপিয়ে মানুষের মনোযোগ ছিলো ভিড়ে, সেই চেনা গন্ধ, অনেক দিনের না দেখা হাসি, দেশীয় পন্যের বাজার আর উল্লাসে মেতে ওঠা চিৎকার।
রসময় রসনার পসরা সাজিয়ে বসেছিলো দেশীয় স্বাদের খাবারের ষ্টল আর সবাইকে সাজানোর মানসে বসা দেশীয় তৈরি কাপড়ের দোকানে ছিলো ঈদের আমেজ।
স্মৃতির বায়স্কোপে দেখিয়ে গেলো ফেলে আসা নগরদোলা, মাটির তৈরি তৈজসপত্র,তালপাতার বাঁশি আর সন্ধ্যা গড়ালে ; হ্যাজাকের আলোয় মনকাড়ানির হাসি।
আমাদের সংস্কৃতি, কৃষ্টির সাথে প্রজন্মের পরিচয়ের সাঁকো এই টেস্ট অফ বাংলাদেশ। হাজারো ব্যাস্ততায় নিজেকে হারিয়ে, বার-বার খুঁজে পাওয়ার অবকাশ টেস্ট অফ বাংলাদেশ।
প্রতিটি স্বেচ্ছাশ্রমী মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা, যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে এই আয়োজন সর্বাঙ্গসুন্দর হয়ে উঠেছে।
হিমাদ্রী রয় সঞ্জীব।
সাংস্কৃতিক কর্মী।