বিদেশে বাংলাদেশিদের বাড়ি ও সম্পদ নিয়ে গণমাধ্যমে যেসব সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে, সেগুলো সত্য কি না, তা অর্থমন্ত্রীর কাছে জানতে চেয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) সংসদ সদস্য মুজিবুল হক। তিনি এ বিষয়গুলো তদন্ত করার দাবি জানিয়েছেন।
আজ রোববার জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে মুজিবুল হক এসব দাবি জানান। তবে এ সময় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সংসদকক্ষে ছিলেন না।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের কথা উল্লেখ করে জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, ‘দেখলাম ওয়াসার একজন চেয়ারম্যানের (প্রকৃতপক্ষে এমডি) আমেরিকায় ২৩টি বাড়ি। আমাদের সংসদের দুই–একজন সদস্য সম্পর্কে এ রকম প্রশ্ন আসছে এবং আরও কিছু ইঙ্গিত আসছে।’
মুজিবুল হক বলেন, ‘অর্থমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করব, এই সমস্ত সংবাদের সত্যতা আছে কি না। কারণ, আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আগেই বলেছিলেন, কানাডায় বেগমপাড়ায় যাঁরা যাঁরা বাড়ি করছেন, তাঁদের মধ্যে অনেক আমলা আছেন। এই জিনিসগুলোর ওপর একটা তদন্ত হওয়া উচিত। সুরাহা হওয়া উচিত।’
অর্থমন্ত্রীকে এসব বিষয়ে মুখ খোলার আহ্বান জানিয়ে মুজিবুল হক বলেন, আগামী নির্বাচনের আগে এসব বিষয়ে সংবাদ হচ্ছে। এতে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়। বিরোধী দলেরও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়। দেশের মানুষের কাছে ভুল বার্তা পৌঁছাচ্ছে যে এমপি–মন্ত্রী হলেই শত শত কোটি টাকা আয় করা যায়। বিদেশে বাড়িঘর করে।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, ‘ইদানীং লক্ষ করছি টাকা পাচার, বিদেশে ফ্ল্যাট কেনার সংবাদ পত্রপত্রিকাসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে। আজকে (রোববার) দেখলাম আমাদের পররাষ্ট্রসচিব বলছেন, আমাদের বাংলাদেশের মানুষ যাঁরা আমেরিকা, কানাডা, ইংল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে থাকেন, তাঁরা এই দেশের (বাংলাদেশ) সম্পত্তি বিক্রি করে টাকা নিয়ে যাচ্ছেন। সেটা বৈধ পথে নিচ্ছেন না। পররাষ্ট্রসচিব এ বিষয়টি স্বরাষ্ট্র এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।’
দেশের যেসব মানুষ মধ্যপ্রাচ্যে কাজ করেন, তাঁরা দেশে টাকা পাঠান উল্লেখ করে মুজিবুল হক বলেন, যাঁরা ইউরোপ-আমেরিকায় থাকেন, তাঁরা সম্পত্তি বিক্রি করে বৈধ পথে টাকা নিলে আপত্তি নেই। কিন্তু তাঁরা দেশ থেকে অবৈধ পথে ডলার বা বৈদেশিক মুদ্রা নিচ্ছেন।
এটা কীভাবে নেওয়া হচ্ছে, সে প্রশ্ন রেখে জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, এটা দেখা বাংলাদেশ ব্যাংক অথবা অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাজ।