১০ উইকেট পেলেই ইতিহাস। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়ার রেকর্ডটি সাকিব আল হাসান নিজের করে নেবেন।
৩০ উইকেট নিয়ে বিশ্বকাপ মহাযজ্ঞে সাকিব রয়েছেন সাত নম্বরে। তার উপরে যে ছয় ক্রিকেটার রয়েছেন তারা কেউ-ই এবার বিশ্বকাপে নেই। ফলে বল হাতে সাফল্য মানেই সাকিবের তরতরিয়ে উপরে উঠা। সবকটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলেছেন সাকিব। ২৫ ম্যাচে ৬.৬৪ ইকোনমি ও ১৯.৫৩ গড়ে সাকিবের উইকেট ৩০টি।
ইংল্যান্ডের স্টুয়ার্ট ব্রড সবশেষ ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলেছেন। ২৬ ম্যাচে তারও উইকেট ৩০টি। পাকিস্তানের ওমর গুল ২৪ ম্যাচে পেয়েছেন ৩৫ উইকেট। সমান উইকেট শ্রীলঙ্কার সাবেক অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজেরও। তবে ডানহাতি এ পেসার ম্যাচ খেলেছেন ২১টি।
শীর্ষ তিনটি জায়গার দুইটিই পাকিস্তানের দুই স্পিনার শহীদ আফ্রিদি ও সাঈদ আজমলের দখলে। তিনে থাকা আজমলের ২৩ ম্যাচে শিকার ৩৬ উইকেট। শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি পেসার লাসিথ মালিঙ্গা ৩১ ম্যাচে পেয়েছেন ৩৮ উইকেট। ২০০৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নায়ক আফ্রিদি ৩৪ ম্যাচে পেয়েছেন ৩৯ উইকেট।
আফ্রিদিকে টপকে শীর্ষে উঠার কাজটা কঠিন অবশ্যই। তবে বিশ্বকাপের এক আসরে ১০ উইকেট পাওয়ার রেকর্ড সাকিবের রয়েছে। সবশেষ ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাঁহাতি স্পিনার পেয়েছিলেন ১০ উইকেট। এর আগের বিশ্বকাপে হাতে ঘুরিয়ে তার শিকার ৮ উইকেট। ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে সাকিবের বোলিংয়ে এমন ধারাবাহিকতা থাকবে তা প্রত্যাশা করাই যায়।
বল হাতে সাকিবের অভাবনীয় পারফরম্যান্স নতুন নয়। বড় মঞ্চে বরাবরই নিজেকে মেলে ধরেন বিশ্বের অন্যতম সেরা এ অলরাউন্ডার। আফ্রিদিকে টপকে বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হলে সাকিবের সাফল্যের মুকুটে যোগ হবে নতুন পালক।