জলবায়ু পরিবর্তনে জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনে যোগ দেওয়া বিশ্বনেতা ও রাজনীতিবিদদের কার্যকর ভূমিকার দাবিতে শুক্রবার গ্লাসগোতে জড়ো হয়েছিলেন হাজার হাজার তরুণ জলবায়ুকর্মী। ফ্রাইডেস ফর ফিউচার স্কটল্যান্ড আয়োাজিত এই সমাবেশে বক্তরা বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকাতে তারা আর বিশ্বনেতাদের ফাঁকা বুলি শুনতে চান না, এবার তারা কার্যকর পদক্ষেপ চান।
বিবিসি জানিয়েছে, সমাবেশে যোগ দিতে কলম্বিয়া, পাপুয়া নিউ গিনি, উগান্ডা, পাকিস্তান ও যুক্তরাজ্য থেকে অধিকারকর্মীরা যোগ দিয়েছেন।
৩১ অক্টোবর ১২০টি দেশ অংশ নিয়েছে গ্লাসগোর জলবায়ু সম্মলনে। পরিবেশবিদদের দাবি, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দায় উন্নত বিশ্বের। তারা যথেচ্ছভাবে পরিবেশের ক্ষতি করেছে এবং এর ফল ভোগ করতে হচ্ছে দরিদ্র দেশগুলোর। ২০১৫ সালে প্যারিসের জলবায়ু সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব ঠেকাতে যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ধনী দেশগুলো তার বাস্তবায়নও তারা করেনি। তাই এবার কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ধনী দেশগুলোকে চাপপ্রয়োগ করতে চাইছেন জলবায়ুকর্মীরা।
জলবায়ু অধিকারকর্মী গ্রেটা থানবার্গ বিশ্বনেতাদের সমালোচনা করে বলেছেন, ‘আমরা আর শূন্য প্রতিশ্রুতি চাই না। যারা ঐতিহাসিক নিঃসরণ ও জলবায়ু বিচারকে এড়িয়ে যায় আমরা তাদের বাগাড়ম্বরপূর্ণ প্রতিশ্রুতি চাই না। আমরা তাদের ব্লা ব্লা ব্লা শুনতে শুনতে ক্লান্ত। আমাদের নেতারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন না।’
উগান্ডা থেকে আসা অধিকারকর্মী ভ্যানেসা নাকাতে বলেছেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব প্রথমেই প্রত্যক্ষ করছে আমার দেশ। মানুষ মারা যাচ্ছে, শিশুরা স্কুল থেকে ঝরে পড়ছে, মানুষের খামারগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে। আমরা সংকটে আছি, আমরা সেই বিপর্যয়ের মধ্যে রয়েছি যা প্রতিদিন ঘটে যাচ্ছে।’
সমাবেশে হান্নাহ নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমার বয়সী মানুষদের আমাদের কণ্ঠস্বর শোনানোর এটাই সেরা সুযোগ, যারা আসলেই পার্থক্য করতে পারে, সরকারে থাকা লোকজন, যারা আমাদের কথা শুনতে পারে এবং আমাদের গ্রহকে মৃত্যু থেকে বাঁচাতে পারে।’