সারা বিশ্ব থেকে অভিযান চালিয়ে আট শতাধিক অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) গোপনে পরিচালিত ম্যাসেজিং অ্যাপ ব্যবহার করেছিল এই সব অপরাধীরা।
বৃহস্পতিবার বিভিন্ন আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা এমন তথ্য জানিয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, আনম নামের একটি এনক্রিপ্টেড ডিভাইস পরিচালনা শুরু করে এফবিআই। গোপন এজেন্টদের মাধ্যমে এই ডিভাইসটি আন্ডারওয়ার্ল্ডের অপরাধীদের মধ্যে চ্যাটিং অ্যাপসহ বিলি করা হয়। প্রথম দিকে এই ডিভাইসটি শীর্ষ পর্যায়ের অপরাধীরা ব্যবহার শুরু করে। তাদের ব্যবহার করতে দেখে অন্যান্য অপরাধীরা বিশ্বাস করতে শুরু করে এবং এই ডিভাইস ব্যবহার করে। ডিভাইসটিতে থাকা অ্যাপসের মাধ্যমে গোয়েন্দারা বিশ্বের ১০০ টি দেশের আন্ডারওয়ার্ল্ডের অপরাধীরা মাদক পাচার , অস্ত্র বিক্রি ও প্রতিপক্ষ গ্যাঙের লোকজনের ওপর হামলার তথ্য আদান-প্রদান করতো।
‘অপারেশন ট্রোজান শিল্ড’ নামের এই অভিযানে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলো প্রায় ১০০ খুন, বড় ধরনের মাদক পাচার প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়েছে।
এফবিআইয়ের সহকারি পরিচালক ক্যালভিন শিভার্স সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, গত ১৮ মাসে শতাধিক দেশের অপরাধী চক্রের কাছে ডিভাইসটি পৌঁছাতে সক্ষম হয় এফবিআই। এর সুবাদে তাদের যোগাযোগের ওপর নজরদারি করা যেতো। ফোনে পাওয়া প্রমাণের ভিত্তিতে বিশ্বের ১৬টি দেশ একযোগে অভিযান শুরু করে।
ইউরোপোলের উপপরিচালক (অপারেশন্স) জিন ফিলিপ লিকুফ বলেন, ‘আট শতাধিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সাত শতাধিক স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে এবং আট টন কোকেন জব্দ করা হয়েছে।’